জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রোহিত-ফুলকি অমাবস্যার দিন রাতে শ্মশানে উপস্থিত হয়। রঘুনন্দ পুজো শুরু করে, কিন্তু শ্যামানন্দ সেখানে নেই। রোহিতের খুব চিন্তা হয়, ফুলকি তাঁকে আশ্বস্ত করে যে উনি ঠিক সময় মতো চলে আসবেন।
এরপর পুজো শেষ হতেই রঘুনন্দ ফুলকি-রোহিতকে মায়ের প্রসাদ বলে পরমান্ন খেতে দেয়। রোহিতের একটু সন্দেহ হয়, কিন্তু রঘুনন্দ বলে এটা খেলে মনোবাসনা পূর্ণ হবে। শ্মশানে উপস্থিত বাকি সাধুরা রঘুনন্দের এত উৎসাহ দেখে বুঝে যায়, ফুলকিকে উৎসর্গ করার জন্য এত কিছু করছে। শ্মশান থেকে একটু দূরে একটা জঙ্গলে নিয়ে যায় তাদের।

পায়েস গ্রহণ করার পরেই মাথা ঘোরা শুরু হয় ফুলকি-রোহিতের। তারপর দুজনে মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এদিকে চরণদাস ঠাকুরের আশ্রমে হানা দেয় রুদ্র, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ফুলকি-রোহিতের গন্তব্য স্থান জেনে নেয়। অন্যদিকে শ্যামানন্দ শ্মশানে এসে ফুলকিকে খুঁজতে থাকেন। একজন সাধু তাঁকে বলে, ফুলকিকে রঘুনন্দ উৎসর্গ করতে নিয়ে গেছে।
শ্যামানন্দ কিছুতেই বুঝতে পারে না কি করবে এবার। একদিকে তাদের দলের মাথা রঘুনন্দ অন্যদিকে ফুলকি, কার পাশে দাঁড়াবেন তিনি! বারবার ফুলকির মুখ ভেসে ওঠে তার চোখের সামনে। অস্থির হয়ে মা কালীর সামনে পথ দেখানোর অনুরোধ করতে থাকেন তিনি। হাতে একটা কর্পূর নিয়ে ইঙ্গিত দিতে বলেন। মুহূর্তেই সেই কর্পূর জ্বলে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ মুম্বই পাড়ি দিয়েই জীবনের নতুন অধ্যায়! অচেনা শহরে কার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন অভিনেত্রী মিশমি দাস?
এরপর শ্যামানন্দ ফুলকির খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। জঙ্গলে গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় রোহিতকে খুঁজে পান তিনি। রোহিতকে সুস্থ করেন, তারপর দুজন মিলে ফুলকিকে খুঁজতে যান। এদিকে রঘুনন্দ ফুলকিকে হারিকাঠে ঢুকিয়ে উৎসর্গ করতে যাবে এমন সময় উপস্থিত হয়ে দুজনে। রোহিতকে আটকাতে বাকি সাধুরা উপস্থিত হলে মারপিট লেগে যায়। সেই সূচকে শ্যামানন্দ ফুলকিকে বাঁচাতে সক্ষম হন।