জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুলকে সোনার দোয়াত কলম উপহার দেন দাদু আর ঠাকুমা। পারুল বলে সে এসবের যোগ্য না, কিন্তু দাদু জানায় তাঁর চোখের কখনো ভুল হয়না ঠিক মানুষ চিনতে। দাদু বিশ্বাস করেন যে পারুল পারবে একদিন এই সোনার পেন দিয়ে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লিখতে। এরপর পিসিমণিও পারুলকে খুব সুন্দর একটা উপহার দেন।
পারুল এরপর গোপালকে প্রণাম জানায় আর রুক্মিণী তাদের নতুন ব্যবসার প্রথম শাড়ি উপহার দেয় পারুলকে। সবাই জানতে পেরে খুব খুশি হয় যে রুক্মিণী নতুন ব্যবসা শুরু করেছে নেড়া গোয়ালের মহিলাদের নিয়ে। এমনকি রুক্মিণী নেড়া গোয়ালের ভাষায় কথা বলা শুরু করে। এইসব দেখে রায়ানের মায়ের একদম ভালো লাগে না।

আলাদা করে রুক্মিণীকে নিয়ে গিয়ে তিনি বলেন, তাঁর তো এতোদিনে এই বিয়ে ভেঙে চলে আসার কথা ছিল, তাহলে এখনও সে ওখানে কি করছে? এমনকি ব্যবসা শুরু করেছে আবার ওদের ভাষাও বলছে! রুক্মিণী জানায়, বিয়েটা যখন হয়েছে সেটা কেউ আটকাতে পারেনি, তখন ঠিক কখন আর কিভাবে সেটা দিয়ে বেরোতে হবে সেটাও তারই সিদ্ধান্ত হবে।
রায়ানের মা বলেন একদিকে পারুল যেমন রায়ানের জীবন শেষ করে দিচ্ছে, তেমন গোপাল তাঁর। রুক্মিণী প্রতিবাদ করে বলে, পারুলকে সে যতটা চিনেছে তাতে করে বুঝেছে সে আর যাই হোক রায়ানের কোনও ক্ষতি করবে না। অন্যদিকে রায়ানের কথা মনে করে পারুলের মন খারাপ হতে থাকে, সবাই বুঝতে পেরে পারুলকে নিয়ে নাচ গান শুরু করে।
দুপুরে ঠাকুমা অনেক রকম খাওয়ার সাজিয়ে পারুলকে খেতে দেন। সবাই একে একে আশীর্বাদ করেন পারুলকে। পারুল সবে খেতে যাবে ঠিক এমন সময়ে রায়ান কোথায় জানতে চেয়ে দাদু চেঁচিয়ে ওঠেন। রায়ানের বাবা বলেন এই উত্তর রায়ানের মা ভালো দিতে পারবে। দাদু পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন যে স্ত্রীয়ের জন্মদিনে রায়ান বাইরে থাকবে এটা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, শিরীনের খেয়াল রাখতে গেছে ভালো, কিন্তু বসু বাড়ির সন্মানটারও খেয়াল রাখতে হবে। এই বাড়িতে থেকে এমন অবিচার তিনি মানবেন না, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রায়ানকে ফিরে আসতে বলেন তিনি। পারুলের খাওয়া শেষ হতেই নেড়া গোয়ালে ফোন করে পারুল কিছু লোককে একটা কাজের জন্য ডেকে পাঠায়।
আরও পড়ুনঃ ফুলকির রক্ত চাই ছোট রানীর! ডিএনএ টেস্টের নাম করে ফুলকিকে খু’নের চেষ্টা! বড় রানীর পাশে নিস্তেজ ফুলকি! রক্ত নিতে গিয়ে কি ধরা পড়ল রুদ্র?
তাড়াতাড়ি আসতে বলে পারুল তাদের। তারা এসে পৌঁছালে পারুল সমস্ত প্ল্যান খুলে বলে, আর তাঁদের একেই এই কাজ করতে হবে বলে জানিয়ে দেয় পারুল। এইবার সে আর সাহায্য করতে পারবে না। তাঁরাও পারুলকে আশ্বাস দেন যে সবকিছু হয়ে যাবে। শেষপর্যন্ত রায়ানকে উদ্ধার করে আনে পারুল।
রায়ান একটা জামা উপহার দেয় পারুলকে আর বলে সে যেন এটা পড়েই কেক কাটে। অন্যদিকে শিরীন তূর্যকে ফোন করে বলে পারুল রায়ানকে নিয়ে চলে গেছে, সে যেমন রায়ানকে পায়নি ঠিক তেমন তূর্যও পারুলকে পাবে না। তূর্য বলে আজকেই সে পারুলকে প্রেমের স্বীকারোক্তি জানাবে, আর বসু বাড়িতে হবে বড় ধামাকা! এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।