জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় বসু বাড়িতে পারুলের জন্মদিনের সন্ধ্যায় সাজ সাজ রব। এদিকে মল্লার, মনোজিত আর পরিতোষ আলোচনা করতে থাকে যে দাদু যদি পারুল কোথায় জানতে চান তাহলে কি বলবে তারা। অন্যদিকে পারুলের জন্মদিনকে কেন্দ্র করেই কাছাকাছি আসতে শুরু করে গোপাল আর রুক্মিণী।
এরই মধ্যে দাদু সবাইকে রীতিমতো রেগে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন পারুল কোথায়? মল্লার বলেই ফেলে যে পারুল রায়ানকে আনতে গেছে আর বলেছে রায়ানকে ছাড়া কেক কাটবে না। এরপর দাদুর সব রাগ গিয়ে পড়ে রায়ানের মায়ের উপর। তাঁর উদ্দেশ্যে দাদু বলেন, রায়ান যদি ফিরে না আসে আর নেড়া গোয়ালের লোকেদের কাছে যদি বসু বাড়ির লোকেদের ছোট হয়ে হয়, তাহলে তিনি রায়ান এবং তাঁর মাকে দেখে নেবেন।”

অন্যদিকে দেখানো হয় শিরীনকে যতবার রায়ান কিছু বলার চেষ্টা করে, সে কথা ঘুরিয়ে দেয় বারবার। রায়ান রেগে গিয়ে শিরীনকে বলেই ফেলে, যে এবার সে পারুলের কাছে ফিরে যাবে, অনেক হয়েছে আর তাঁর কোনও হুমকিতে রায়ান ভয় পায়না। শিরীনকে রায়ান যা খুশি করতে বললে, শিরীন সত্যি সত্যিই ছাদের কার্নিশে উঠে দাঁড়ায়। রায়ান ভয় পেয়ে সব আটকাতে যাবে, ঠিক এমন সময়ে পারুল এসে রায়ানকে বাঁধা দেয়।
রায়ান পারুলকে বলে তাঁকে ছেড়ে দিতে নাহলে একটা বড় বিপদ ঘটিয়ে ফেলবে শিরীন। পারুল রায়ানকে আশ্বস্ত করে যে শিরীনের মতো মানুষেরা এত সহজে মরে না। শিরীনের উদ্দেশ্যে পারুল বলে, সে যেন ঝাঁপ দিয়ে দেয় যাতে করে সবাই বুঝতে পারে রায়ানকে সে কতটা ভালোবাসে। শিরীন নিচের দিকে তাকাতেই ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি নেমে পড়ে কার্নিশ থেকে। রায়ান এবার বুঝতে পারে, যে এতদিন রায়ানের সাথে নাটক করে গেছে সে।
শিরীনের সাথে সব সম্পর্ক শেষ করে দেয় রায়ান। শিরীন বলে, এখানেই শেষ নয়, এবার পারুলকে দেখে নেবে সে! মল্লার নাচ-গান করার প্রস্তাব দিলে, দাদু জানিয়ে দেন যে বসু বাড়িতে বিদেশি কায়দায় কোনও উদযাপন হয়নি আজ পর্যন্ত আর ভবিষ্যতেও হবে না। রায়ানের মাকে গান গাইতে বলেন দাদু, মনে অসন্তোষ থাকলেও তিনি গান গাইতে বাধ্য হন। সেই সুযোগে রায়ান পারুলকে টেনে নিয়ে যায় নিজের ঘরে। সেখানে আগে থেকেই সবাই সবটা গুছিয়ে রেখেছিল।
পারুলকে রায়ান একটা জামা উপহার দেয়। পারুলকে অনুরোধ জানায় যে ওই জামা পড়েই যেন পারুল কেক কাটে। এরপর পারুলের সাথে নাচ-গানে মেতে ওঠে সকলেই। অন্যদিকে শিরীন গিয়ে তূর্যকে বলে যে রায়ান তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে গেছে আর কোনও দিন সেও পারুলকে পাবে না। তূর্য বলে আজই সে বসু বাড়িতে গিয়ে সকলের সামনে নিজেকে পারুলের প্রেমিকের পরিচয় দেবে আর পারুলকে প্রস্তাব জানবে।
আরও পড়ুনঃ ইতিহাস গড়ল জি বাংলার ‘জগদ্ধাত্রী’! হাজার পর্ব ছুঁতেই নতুন মোড়ে গল্প! অন্যায়ের বিরুদ্ধে মা-মেয়ে এবার লড়বে একসঙ্গে! কিসের ইঙ্গিত দিলেন প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তী?
সেই মতন তূর্য দাদুর মুখোমুখি দাড়িয়ে বলে যে পারুলকে ভালোবাসে আর বিয়ে করতে চায়। দাদু বলেন পারুল বিবাহিত জেনেও এত সাহস! রায়ানও নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা তূর্যকে মারতে যায়, ঠিক সেই সময়ে একটা ছুরি বের করে তূর্য রায়ানকে আঘাত করে। এরপর কি হবে ? জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।