জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় লাবণ্য রুদ্রর সাথে দেখা করতে সংশোধনাগারে গেলে, সেখানকার লোকেরা জানায় যে রুদ্রর খুব শরীর খারাপ তাই দেখা করতে পারবে না। বাড়ি ফিরে লাবণ্য ফুলকিকে সবটা জানালে তারও সন্দেহ হয় রুদ্রকে নিয়ে। তমাল কাজে বেরোনোর জন্য তোড়জোড় শুরু করতেই, ফুলকি তাঁকে বড় রানীর ওষুধগুলো দিয়ে বলে যে একটু পরীক্ষা করে জানতে, এই ওষুধগুলোর আসল কাজ কি?
তমাল ভয় পেয়ে কারণ জিজ্ঞেস করলে ফুলকি বলে, রানী মা এমনিতে অনেক সুস্থ কিন্তু এই ওষুধগুলো খাওয়ার পড়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন, কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকেন। ধানুর ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে তমাল। ফুলকি তাঁকে আশ্বস্ত করে যে, ওখানে আদিত্য আছে যার মন খুব পরিষ্কার তাই ধানুর কোনও ক্ষতি হবে না। এরই মধ্যে ছোট রানীর নির্দেশ মতো আদিত্য রায়চৌধুরী বাড়িতে হাজির হয়।

আদিত্যকে হঠাৎ করে দেখে সবাই খুব আনন্দ পায়, কিন্তু ধানুর না আসা নিয়ে ফুলকির খারাপ লাগে। আদিত্য জানায়, যে রানী মা কিছু মানুষকে প্রতিবছরের মতো দান-ধ্যান করবেন, তাই নেমন্তন্ন করতে এসেছে সে। অন্যদিকে ছোট রানী ছদ্মবেশে ডাক্তারের কাছে উপস্থিত হয়ে ফুলকি আর বড় রানীর ডিএনএ পরীক্ষার কথা জানায় আর রক্তের নমুনাও জমা করে আসেন।
ফুলকি আর রোহিতের কাছে হঠাৎ ইন্সপেক্টর স্বাগতা ম্যাডাম ফোন করে বলে যে সীতারামের মৃত্যুর রিপোর্টে লেখা বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটেছে। যেহেতু প্রসাদ নিয়ে গিয়েছিল সীতারামের ছেলে, ফুলকিকে স্বাগতা তার সঙ্গে সীতারামের বাড়ি তদন্ত করতে যেতে বলে। ফুলকি কথা দেয় সে এবং রোহিতও যাবে সাথে। কথা মতন তদন্তে নেমে জানা যায় সীতারামের ছেলে নির্দোষ বরণ তাকেও ফাঁসানো হয়েছে।
সীতারামের ছেলে জানায় সেদিন থানায় যাওয়ার পথে একটা সাইকেল তাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে এবং সেই নিয়ে বচসার সৃষ্টি হয়। ফুলকির অনুমান সেই সময়ই প্রসাদ বদলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে সেখানে কোনও সিসি টিভিও নেই এবং বেছে বেছে এমন জায়গাতেই ঘটনাটা ঘটিয়েছিল। ফুলকি খবর পায় যে নেড়া গোয়ালের থেকে কেউ একটা এসেছে ঘুরতে, সে সব রকম ভিডিও করে।
পারুলের বন্ধু বলে পরিচয় দিতেই সে বেরিয়ে আসে। সে আর কেউ নয় বরং নাড়ু। যে কিনা মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল, ছোট্ট ধনুর চ্যানেলের কথা মাথায় রেখে সে ঝগড়ার ভিডিও করছে, সেদিনের ঝামেলার ভিডিও দেখতে চায় পুলিশ। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায় একজন ব্যক্তি প্রসাদের সঙ্গে কিছু একটা করছে। সেখানকার লোকেদের জিজ্ঞেস করলে জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম পিন্টু, সেই মতো পুলিশ যায় তাকে গ্রেফতার করতে।
আরও পড়ুনঃ পারুল ভেস্তে দিল শিরীনের আ’ত্ম’হ’ত্যার নাটক! পারুলকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে দাদুর সামনে বি’স্ফো’রণ তূর্যের! বাধা দিতেই রায়ানকে ছু’রিকাঘাত! পারুলের জন্মদিনেই বসু বাড়িতে র’ক্তবন্যা!
জানা যায় তার রয়েছে একটি লটারির দোকান, ফুলকির সন্দেহ যে তিনিই কোনওভাবে যুক্ত বড় রাজার মৃত্যুর সাথে। ফুলকি বলে, কান টানলে ঠিক মাথা আসবে, ভগবানের কৃপায় এতদূর পৌঁছেছে তদন্ত, এবার আসল মাথার খোঁজও মিলবে খুব তাড়াতাড়ি। তমাল বড় রানীর ওষুধ পরীক্ষা করে ফুলকিকে জানায়, অতিমাত্রায় মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের খাওয়ানো হয় এই ওষুধ। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।