জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বিবাহিত জীবনের স্বাদ চুটিয়ে উপভোগ করছেন অভিষেক-শার্লি! বিয়ের পরে অভিষেকের প্রথম জামাইষষ্ঠী, শুটিংয়ের ব্যস্ততায় কি থাকবে বিশেষ চমক? কি জানালেন শার্লি?

এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে টলিপাড়ায় বাজল নতুন বিয়ের সানাই। ২৯ এপ্রিল প্রকাশ্যেই নিজেদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন ‘অভিষেক বোস’ (Abhishek Bose) ‘শার্লি মোদক’ (Sharly Modak) ‘ফুলকি’ (Phulki) ধারাবাহিকের শুটিং ফ্লোরে তাঁদের পরিচয়। গল্পে নায়ক-খলনায়িকার চিরকাল দ্বন্দ্ব থাকলেও বাস্তব জীবনে ধীরে ধীরে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন দুজনে। আর সেই প্রেমই আগের মাসে পরিণতি পায় শুভ পরিণয়ে। দুজনের মিষ্টি বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, আর প্রেম থেকে সংসার, সব মিলিয়ে যেন নিখুঁত একটা গল্প।

বিয়ের পর এখন একসঙ্গে ঘর বাঁধার আনন্দে মেতে উঠেছেন অভিষেক-শার্লি। শার্লির কথায়, “এখন আর একা নই, পাশে অভিষেক আছে। আর নতুন মা-বাবাকেও পেয়ে গেছি। এর চেয়ে বড় পাওনা আর কী হতে পারে!” সংসার জীবনের এই শুরুতেই অভিনেত্রীর মধ্যে যে আনন্দ ও শান্তির ছোঁয়া, তা তাঁর প্রতিটি কথায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুধুই সম্পর্কের তকমা নয়, বরং হিসেবে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার নতুন সঙ্গী পেয়েছেন শার্লি।

বিয়ের পরপরই পাহাড়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ছোট্ট মধুচন্দ্রিমায় বেরিয়ে পড়েছিলেন এই নবদম্পতি। যদিও পরিকল্পনায় ছিল কাশ্মীর যাওয়া, তবে পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁদের জায়গা বদলাতে হয়। তাতে অবশ্য দম্পতির আনন্দে বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়েনি। শার্লি জানান, “বিয়ের ছুটিটাই একমাত্র সময়, যেখানে আমরা নিজের মতো আনন্দ করতে পেরেছি। শুটিংয়ের মাঝে এমন সুযোগ তো খুব কমই মেলে।” বিয়ে ও মধুচন্দ্রিমার পর আবার ফিরেছেন পুরনো ছন্দে।

‘ফুলকি’র সেটে ব্যস্ত শিডিউল, কাজও শুরু হয়েছে পুরোদমে। দুই তারকার কাছেই এখন ক্যামেরার সামনে ও পেছনের জগৎ সমান গুরুত্বপূর্ণ। এত কিছুর মধ্যেও বাড়ির দায়িত্ব ও সম্পর্কগুলো কীভাবে সামলাচ্ছেন শার্লি?তাঁর সহজ স্বীকারোক্তিতে,“আগে সব কাজ একাই করতাম, এখন একজন সঙ্গী আছে। তাই সবটাই সহজ মনে হচ্ছে।” সংসার জীবনের নানান ছোট বড় মুহূর্ত সমাজ মাধমে প্রায়শই ভাগ করে নেন দুজনে।

এদিকে সামনে পড়ে গেছে জামাইষষ্ঠীর মতো বাঙালি ঐতিহ্যের একটি দিন। বিয়ের পর এটাই অভিষেকের প্রথম জামাইষষ্ঠী। যদিও শার্লি জানালেন, এই বছর কোনও বিশেষ পরিকল্পনা নেই। কারণ তার মা-বাবা শহরের বাইরে থাকেন আর শুটিংয়ের ব্যস্ততা তো রয়েইছে। তবে শেষ মুহূর্তে যদি কিছু হয়, সেটাও অস্বীকার করবেন না তিনি। সব মিলিয়ে অভিষেক-শার্লির বৈবাহিক জীবন এখন এক নয়া উড়ানের পথে, যেখানে রয়েছে ভালবাসা, পরিবার, আর কাজের প্রতি অদম্য উৎসাহ।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page