জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দায়িত্ব নিয়ে দাদু পারুলকে এনেছিলেন, এখন সেটাই সবচেয়ে বড় ভুল! দাদুর অবজ্ঞায় ভেঙে পড়ল পারুল, নিজের পথ বেছে নিল সে! মেয়ে হয়ে উঠতেই চেয়েছিল, গৃহিণী হতে চাওয়া কী তার অপরাধ? ন্যাড়া-গোয়ালে ফেরার সিদ্ধান্ত পারুলের!

জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পারুল-রায়ান বসু বাড়ি ফিরে এসেছে। দাদু রায়ানকে আপন করে নিলেও, পারুলকে এখনও ক্ষমা করতে পারেননি। দাদুর চোখে পারুলই সবচেয়ে বড় দোষী। পারুল ক্ষমা চাইতে গেলেও তিনি মুখ ফিরিয়ে চলে যান। এদিকে রায়ান সবাইকে জানিয়ে দেয়, নিজেদের উদ্যোগে গড়ে তোলা ব্যবসা সে ছাড়তে পারবে না, যতই বসু বাড়িতে ফিরে আসুক তাঁরা।

পারুল রায়ানের সঙ্গে ব্যবসা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। পারুল বলে, রায়ানের মতো একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং হঠকারী ব্যক্তির সঙ্গে সে ব্যবসা করে সময় নষ্ট করতে পারবেনা। এরপর এক-দুই কথায় ঝগড়া শুরু হয়ে যায় দুজনের। সবাই বলে তাঁদের, যে এমনিতেও সেই অজানা শত্রু আর তূর্য মুখিয়ে আছে ক্ষতি করার জন্য। তাই কোনও ব্যাবসা করতে হবে না। বৌদিমণি পারুলকে অনুরোধ করেন, স্পেশাল চপ বানিয়ে খাওয়াতে।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

অন্যদিকে তূর্য পারুল-রায়ানের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে তলা বন্ধ দেখে ফিরে যায়। এরপর দেখা যায়, পারুল দাদুর জন্য চপ দিতে যায় তাঁর ঘরে। সেখানে দাদুকে ঠাকুমা বোঝাচ্ছিলেন, যে পারুল বসু বাড়ির জন্য অনেক করেছে। এইবারের মতো তাকে ক্ষমা করে দিতে। কিন্তু দাদু জানান, পারুলের উপকারের থেকে তাঁর দেওয়া ক্ষতটা সবচেয়ে গভীর। সেটা কখনোই পূরণ হবে না। দাদু বলেন, নিজের রক্তের সম্পর্কের থেকেও বেশি ভরসা করে গ্রাম থেকে পারুলকে নিয়ে এসেছিলেন তিনি।

কিন্তু সেটাই সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। দায়িত্ব যখন নিয়েছেন তখন পারুলের পড়াশোনা শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি সেই ভার বহন করবেন। এরপর পারুলকে নিয়ে আর কোনও চিন্তা থাকবে না তার। দরজার আড়াল থেকে পারুল এইসব কথা শুনে ভেঙে পড়ে, সিদ্ধান্ত নেয় এবার তার পড়াশোনার খরচ সে নিজেই চালাবে। দরকারের চপের দোকান সে একাই সামলাবে। একদিকে যাঁর স্ত্রী হয়ে এই বাড়িতে আছে, সে-ই স্ত্রী বলে মনে না।

অন্যদিকে দাদুর এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া দেখে পারুল ন্যাড়া-গোয়াল যেতে চায় কিছুদিনের জন্য সবকিছু ভুলে যেতে। দাদুর কাছে অনুমতি নিতে গেলে, তিনি আবারও অনেক কথা শোনান এবং শেষে রায়ানকে বলেন যে পারুলকে যেন সকালে তাঁর বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আসে। রায়ানকে রুক্মিণী ফোন করে তাঁর ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার খবরটা দেয়। এরপর পারুলকে ন্যাড়া-গোয়ালে ছেড়ে দিয়ে, রায়ান রুক্মিণীকে নিয়ে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

Piya Chanda