জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পারুলকে ছিনিয়ে নিতে রায়ানের প্রা’ণনা’শের চেষ্টা! রায়ান-পারুলকে চিরতরে আলাদা করতে মরিয়া তূর্য! চড়ে জবাব দিল পারুল! অপ’হরণ করেই পারুলকে নিজের করে নিতে চায় তূর্য!

জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় অবশেষে একসঙ্গে কেক কাটে পারুল-রায়ান। সবকিছুই ঠিক চলছিল, হঠাৎ রায়ানের বাবা এসে জানান নিচে ইউনিভার্সিটির এক বন্ধু এসেছে পারুলের সঙ্গে দেখা করতে। পারুল বুঝতে পারেনা কে বা কেন এসেছে বাড়িতে, আর তাছাড়া কেউই জানে না পারুলের জন্মদিনের কথা। সবাই তাড়াতাড়ি করে নিচে নেমে আসে।

নিচে নেমে আসতেই পারুল লক্ষ্য করে দরজার সামনে তূর্য দাঁড়িয়ে। রায়ান নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না, তূর্যকে সাবধান করে দেয় যেন পারুলের থেকে দূরে থাকে। তারপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে গেলে, তূর্য জানায় আজ সে আশুতোষ বসুর সঙ্গে কথা বলতে এসেছে, তারপর ভেতরে ঢুকে পড়ে। দাদুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তূর্য বলে যে বসু বাড়ির আশ্রিতা পারুলকে সে খুব ভালোবাসে আর তাঁকেই বিয়ে করতে চায়।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

বসু বাড়িতে উপস্থিত সবার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। আশুতোষ বসু বলেন, এত বড় সাহস হয় কি করে যে একজন বিবাহিতা মেয়েকে আবার বিয়ে করতে চায় সে। তূর্য এমন ভান করে যেন সে জানতোই না পারুল বিবাহিত। রায়ানের বাবা বলে দেন যে পারুল আর রায়ান স্বামী-স্ত্রী। তূর্য বলে এত নাটক করে ইউনিভার্সিটিতে দূরে থাকে কেন যদি তাই হয়।

পারুল তূর্যকে বলে বেরিয়ে যেতে, তূর্য অপরদিকে বলে সে চলে যাওয়ার জন্য আসেনি। আজ সে প্রমাণ করে দেবে রায়ান তাঁর যোগ্য নয়, এই কথা বলেই পারুল কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে তূর্য। রায়ানের মাথায় আগুন জ্বলে ওঠে, সে তূর্যের উপর চড়াও হয়। তূর্য সুযোগ বুঝে একটা ছুরি তুলে নেয় হতে আর বলে আজ রায়ানের সঙ্গে লড়াই করেই পারুলকে জিতে নেবে সে।

রায়ানকে আঘাত করতে গেল মাঝখানে এসে দাঁড়ায় পারুল, সে বলে তূর্যের জন্যই জন্মদিনের মতো একটা পবিত্র দিন অপবিত্র হয়েছে। পারুল বলে, সে যেমন সাহস করে দাদুর কাছে পারুলকে চেয়েছে, তখন তার পাওনা তাঁকে নিতেই হবে। এই বলেই পারুল ঠাস ঠাস করে চড় বসিয়ে দেয় তূর্যের গালে। পারুল বলে দেয় যে রায়ান তার স্বামী এই কথা সে যাকে ইচ্ছা বলতে পারে কিন্তু এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে।

তূর্য চলে যেতেই পারুলকে সুযোগ পেয়ে অনেক কথা শোনাতে থাকেন রায়ানের মা, রায়ান পারুলের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে বলে, পারুল কেমন মেয়ে সে জানে তাই কেউ যেন তাঁকে নিয়ে কোনও রকম বাজে কথা না বলে। দাদুও বলেন যে এই প্রসঙ্গে আর কথা হবে না। রায়ান এরপর চিন্তায় পড়ে যায়, ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে তূর্য তাদের বিয়ের কথা জানিয়ে দিলে কি হবে!

পারুল বলে যে এই কথাটা শিরীনও জানতে পারে, কিন্তু যদি কেউ জেনেও যায় তাহলেও সত্যিটা বলে দেবে পারুল, যে পরিস্থিতির চাপে পড়ে বিয়ে করতে হলেও এই বিয়ে তারা দুজনে মনে না তাই বলেনি কাউকে। পরের দিন তূর্য পারুলকে অপহরণ করে নিয়ে যায়, রায়ান হন্যে হয়ে খুঁজেও যখন পায় না, তূর্যকে বলে সেই এই কাজটা করেছে। তূর্য বলে পারুলকে এমন জায়গায় রেখেছে যে কোনও দিনও খুঁজে পাবে না কেউ।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page