জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

শঙ্খ-ঢাকের শব্দে মাতল বসুবাড়ি, পারুলের ঐক্যের জাদুতে মুগ্ধ সবাই! সপ্তমী আয়োজনে পারুলের জয়, কিন্তু হঠাৎ শিরীনের আগমনে বাড়ল অনিশ্চয়তা!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, বসু বাড়িতে সপ্তমী পূজোর তোরজোর চলছে। বাড়ির পুজোতে সামিল হতে রায়ন-পারুলের ইউনিভার্সিটির বন্ধুরাও এসেছে। ন্যাড়া-গোয়াল থেকে পারুলের বাবা এসেছে পুজো করবেন বলে। এদিকে বাড়ির জামাই গোপালও এসেছে তার সঙ্গে। সপ্তমী পূজোর দায়িত্ব যেহেতু পারুলের কাঁধে, তাই রায়ান জানতে চায় কী বিশেষ করেছে এই দিনের জন্য সে।

পারুল মুখে কিছু না বলে ঢাকিকে ঢাক বাজাতে বলে, নিজেও শঙ্খ বাজাতে শুরু করে। এরপর বাড়ির অন্দরমহল থেকে একে একে বাড়ির সমস্ত মেয়েরা সাদা লাল পেড়ে শাড়ি পড়ে বেরিয়ে আসে। দাদু থেকে শুরু করে রায়ান সবাই দেখে অবাক। মৈনাক বলে ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখার মতো ঘটনা। পারুল বাড়ির সবাইকে যেভাবে একসাথে ফেলে দিয়েছে, দেখে ভয় পায় রায়ান যে অষ্টমী পূজোর আয়োজনে তার কোনও ত্রুটি না থাকে।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, Parineeta Today Full Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব, পরিণীতা নতুন পর্ব

পুজো শুরু হওয়ার আগে বাড়ির সবাই রুক্মিণীকে খুব মিস করছে। ত্বরীতা ফোন করে তাকে, ঠাকুমা অনেক আক্ষেপ নিয়ে নাতনির কাছে অনুরোধ করে যেন বিদেশের কাজ তাড়াতাড়ি মিটিয়ে সেও বাড়ি ফিরে আসে উমার মতো। পারুল বুঝতে পারেন দূরে দাঁড়িয়ে গোপাল রুক্মিণীকে একবার দেখার জন্য হাঁসফাঁস করছে। ফোনটা পারুল গোপালের হাতে ধরিয়ে দেয়। বাড়ির সবার সঙ্গে গোপালকেও আনন্দ করতে দেখে রুক্মিণী খুব খুশি হয়।

মনে মনে যদিও গোপালকে প্রতারণা করার আক্ষেপ তার রয়েই গেছে। এদিকে রায়ানের মা পারুলের একটা প্রশংসা শুনে রেগে আগুন। সবাই এরপর নাচ গান করতে করতে নবপত্রিকা স্নানের উদ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। পারুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছোট কাকিমা, টগর সবাই নাচতে থাকে। সপ্তমী পুজো শেষ হতেই পারুল সবাইকে আরতির তাপ দিতে থাকে। রায়ানের কাছে নিয়ে গেলে রায়ান পারুলের মাথায় তাপ দিয়ে দেয়। পারুল কিছু বলার আগেই রায়ান বলে, প্রতিযোগীকে ভালো রাখাও তার দায়িত্ব।

এরপর প্রসাদ বিতরণ নিয়ে রায়ানের মায়ের ক্ষোভ দেখে, পারুল তাকেই সমস্ত দায়িত্ব দেয়। হঠাৎ সেখানে হাজির হয় শিরীন। রায়ান দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতে চায়। কিন্তু সবাই বলে পুজোর দিন অতিথিকে এমন করতে নেই। শিরীনকে পারুলের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। পারুলের কাছে না চেয়ে, সে দাদুর কাছে চাইতে যায়। তিনি প্রত্যাখ্যান করায় বাধ্য হয়ে পারুলের কাছেই ক্ষমা চাইতে হয় তাকে। শিরীন জানে, পারুল যদি পিতৃপরিচয় যদি যায় তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হবে। সেটা যাতে না হয়, তাই চোখে চোখে রাখবে বলে এই বাড়িতে এসেছে সে।

Piya Chanda