জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, বসু বাড়িতে অষ্টমীর দিন। সবাই তোড়জোড় করছে পুজোর, কেউ এটা করছে তো কেউ ওটা। আজ পুজোর দায়িত্ব রায়ানের। সে এসে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে যে ঠিক মতো হচ্ছে কিনা। পারুলকে খোঁচা দিয়ে রায়ান বলে, তার থেকেও ভালো দায়িত্ব সামলাবে সে। এরপর শুরু হয় পুষ্পাঞ্জলি।
সবাই মা দুর্গার কাছে নিজেদের মনের ইচ্ছে জানায়। পারুল বলে যে এতো ভালোবাসা না চাইতেই পেয়েছে, এবার যেন মায়ের ভালোবাসা পায়। তাড়াতাড়ি যেন তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে, রায়ান চায় যতই চেষ্টা করুক যেন পারুল কখনওই তার সঙ্গে লড়াইতে জিততে না পারে। সঙ্গে রায়ান এটাও বলে যে প্রতিদ্বন্দ্বীর মন খারাপ থাকলে কোনও লড়াইকেই মজা আসে না।

তাই মা দুর্গাকে রায়ান অনুরোধ করে, যেন পারুলের মাকে পারুল তাড়াতাড়ি খুঁজে পায়। ওদিকে আবার শিরীন মা দুর্গার কাছে শক্তি চায়, সে যেন পারুলকে তার মায়ের কাছে পৌঁছানো থেকে আটকাতে পারে। আর ঠাম্মি মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেন, রায়ান-পারুলের সম্পর্ক যেন চিরকাল অটুট থাকে। ঠাম্মির কথায়, রায়ান-পারুল হরগৌরী জুটি। তাই ওরা চাইলে সব কিছু করতে পারে একসঙ্গে থেকে।
আর যে স্বপ্ন নিয়ে পারুল এই পুজো করছে সেটাও যেন সফল হয়। পুজো শেষে পারুল এদিকে আলপনা দিচ্ছে। আর সবাইকে প্রসাদ দিচ্ছেন রায়ানের মা। রায়ানকে মিষ্টি খাইয়ে আচমকাই তিনি পারুলের মুখের দিকে একটা মিষ্টি এগিয়ে দেন। সবটাই যেন পারুলের দেখা সেই স্বপ্নের মতো। কারোর মুখের সামনে ধরা খাওয়ার ফিরিয়ে নিতে নেই, তাই পারুলকে মিষ্টিটা খাওয়াতে বাধ্য হন সব তিক্ততা ভুলে।
আরও পড়ুনঃ অভিমানের পর এবার আতঙ্ক! আর্যর ভালোবাসার উপহারেই বিপদ, অষ্টমীর সকালে বদলে গেল অপর্ণা! অদ্ভুত সব আচরণে চেনা যাচ্ছে না তাঁকে! রহস্যে ঘেরা ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর নতুন মোড়!
পারুল হঠাৎ লক্ষ্য করে অষ্টমী পূজোতে দাদুই নেই। দাদুর ঘরে গিয়ে সে দেখতে পায়, একটা ছবি হাতে নিয়ে কাঁদছেন তিনি। ছবিটা থাকা একজন ব্যক্তি পারুলদের ইউনিভার্সিটির ডিন স্যার। এই ছবি আগেও পারুল দেখেছে, তাই বুঝতে অসুবিধা হয় না। ঠাম্মিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে, সবটা পরিষ্কার হয় পারুলের কাছে। আসলে ডিন স্যার দাদুর বড় দাদা, গুজরাট চলে যাবার আগে তারা একসঙ্গে দূর্গা পুজো করবে ঠিক করেও করতে পারেনি।
এরপর নানান রকম মতবিরোধের কারণে তাদের সম্পর্ক প্রায় ভেঙে গেছে। এখন তাদের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ! পারুল ঠিক করে এই পুজোতেই আবার পুরনো সম্পর্ক জোড়া লাগাবে সে। রায়ানকে সঙ্গে করে নিয়ে, সে বড় দাদুকে ফিরিয়ে আনতে যায়। দাদুকে পুজোতে আসতে অনুরোধ করে পারুল। তিনি রাজি না হলে জোর করে পারুন তাকে নিয়ে আসে। তাকে সামনে এনে দাঁড় করায় নিজের দাদার!