জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত খু’ন! বি’ষ খাইয়ে সাঁতার কাটতে পাঠানো হয়েছিল! জুবিনের মৃ’ত্যু ঘিরে সিআইডি তদন্তে নতুন মোড়! উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য!

জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। সিঙ্গাপুর পুলিশের হাতে থাকা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে পৌঁছেছে, কিন্তু মৃত্যুর আসল কারণ এখনও ধোঁয়াশায় ঢাকা। এর মধ্যেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর দাবি—জুবিনকে নাকি ইচ্ছে করেই বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে! অভিযোগ তুলেছেন তাঁরই ব্যান্ডের সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী।

শেখরের অভিযোগ, শিল্পীর ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শ্যামকানু মহান্তই এই হত্যার পিছনে মূলচক্রী। তাঁর দাবি, সিঙ্গাপুর সফরের সময় থেকেই শর্মার আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। ঘটনার দিন ইয়টে বেড়াতে গিয়ে শর্মা নাকি হঠাৎই বোটের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেন, যার ফলে মাঝসমুদ্রে তা বিপজ্জনকভাবে দুলতে থাকে। শুধু তাই নয়, পানীয়ের দায়িত্বও একেবারে নিজের হাতে রাখতে চান শর্মা। শেখরের কথায়, “ও নিজে বলেছিল, পানীয়ের ব্যবস্থা ও-ই করবে, অন্য কাউকে কিছু আনতে হবে না।”

গোস্বামীর বক্তব্য অনুযায়ী, জুবিন একজন দক্ষ সাঁতারু ছিলেন। এমনকি তিনি নিজেই দলকে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দিতেন। তাই তাঁর ডুবে মারা যাওয়ার তত্ত্ব মানতে পারছেন না কেউই। শেখর আরও জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিতদের মধ্যে কেউই পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধারণ করতে পারেননি, কারণ শর্মা নিজেই নাকি ভিডিও না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এতেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়েছে।

শেখরের দাবি, জুবিনের মুখ ও নাক থেকে ফেনা বেরোতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তখন শর্মা হেসে বলেন, “এটা অ্যাসিড রিফ্লাক্স, চিন্তার কিছু নেই।” চিকিৎসা না করায় অবস্থা দ্রুত খারাপ হয় বলে মনে করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “যদি তখনই চিকিৎসা শুরু করা যেত, হয়তো জুবিন আজও বেঁচে থাকতেন।” তিনি আরও দাবি করেন, অনুষ্ঠানটি সিঙ্গাপুরে আয়োজন করা হয়েছিল ইচ্ছে করেই, যাতে তদন্ত জটিল হয় এবং ঘটনাটি ‘দুর্ঘটনা’ বলে দেখানো সহজ হয়।

এদিকে, অসম পুলিশের সিআইডি ইতিমধ্যেই জুবিনের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও সহ-গায়িকা অমৃতপ্রভা মহন্তকে গ্রেফতার করেছে। তার আগে আটক করা হয় নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভালের মুখ্য আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত ও জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মাকে। এখন গোস্বামী জেল থেকেই এই বিস্ফোরক দাবি করে নতুন করে বিতর্কের আগুন জ্বালিয়েছেন।

অসম জুড়ে এখনো শোকের ছায়া ঘনিয়ে আছে। প্রিয় শিল্পীর অকালপ্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন অনুরাগীরা। জুবিনের স্ত্রী গরিমা গর্গ আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, “ক্লান্ত থাকা সত্ত্বেও কেন ওকে পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হল? কেন সাঁতার কাটতে বাধ্য করা হল?” এখন শেখরের এই অভিযোগে সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়ে উঠছে। সত্যিই কি দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাই হয়েছিল? উত্তর খুঁজছে গোটা দেশ।

Piya Chanda