জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, শিরীন রায়ানের পা ধরে ক্ষমা চাইলেও, রায়ান মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং জানিয়ে দেয় যে তাকে ঘেন্না করে! পুলিশ মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে যেতেই, শিরীনের বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি পারুলের কাছে ক্ষমা চান, পারুল তাকে সমবেদনা জানিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
বাড়িতে সবাই খুশি হয় শুনে যে শিরীনদের পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। সবাই বলে যে, পারুলকে যা জ্বালিয়েছে তাতে এতদিনে উচিৎ শিক্ষা হয়েছে। সবাই রায়ানের সাহসেরও প্রশংসা করতে থাকে। কিন্তু দাদু রায়ানের মায়ের উপর খুব রেগে যান, শিরীনকে বাড়ির খবর পাচার করে এতবড় সমস্যা তৈরি করার জন্য।

তিনি শেষবারের মতো সাবধান করে দেয় রায়ানের মাকে যেন শুধরে যায়, না হলে এর পরিণতি ভালো হবে না। পারুলও জানায় যে, শিরীনরা বিপদে পড়ে রায়ানের মাকেও ফাঁসাতে চেয়েছিল। সবকিছু মিটে যাওয়ার পর, গোপাল আর রুক্মিণী নেড়া গোয়ালে ফিরে যায়।
পরদিন তাদের শাড়ির ব্যাবসা নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ন মিটিং আছে তাই। এদিকে রায়ানকে পারুল ধন্যবাদ জানাতে গেলে, রায়ান স্পষ্ট করে দেয় যে পারুল তাঁর কম্পিটিটর বলেও তাকে বাঁচিয়েছে। সকাল হতেই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে পারুল, রায়ান আর মল্লার ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে, এমন সময় দাঁড়াতে বলেন রায়ানের মা।
আরও পড়ুনঃ আর সহ্য হচ্ছে না মিথ্যের বাঁধন, সাত পাকের আগেই মণ্ডপ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা উজির! পুলিশের তাড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিশার গাড়ির ভয়াবহ দুর্ঘ’টনা!— ‘জোয়ার ভাঁটা’য় আজকের পর্বে নাটকীয় মোড়!
রায়ান আর মল্লারকে ঠাকুরের আশীর্বাদ আর চন্দনের ফোঁটা দিলেও, পারুলকে তিনি দেন না। রায়ান নিজে গিয়ে পারুলকে চন্দনের ফোঁটা আর আগুনের তাপ দিয়ে বলে, পড়ে যদি রায়ান বেশি নম্বর পায়, পারুল যেন বলতে না পারে যে ঠাকুরের আশীর্বাদ পেয়েছিল বলেই করতে পেরেছে। ওদিকে নেড়া গোয়ালে গোপাল আর রুক্মিণীও রায়ান-পারুলের জন্য প্রার্থনা করছে ঠাকুরের কাছে।
