জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এদিকে দাদুর শরীর আরও খারাপ হওয়ার ভয় দেখিয়ে রায়ানের মা সবার মুখ বন্ধ করিয়ে রাখে। কিন্তু মল্লার কারোর কথা না শুনেই বাবাকে ফোন করে বলে পারুলের বিষয়টা, তিনিও ব্যাঙ্গালোর যাওয়ার ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাড়ি ফিরে এসেই তিনি সবার উপর রাগারাগি করতে থাকেন যে, বাড়ির কোনও সম্মানের কথা না ভাবেই এত বড় সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো। রায়ানের মাকে পারুলের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে বলেন তিনি, কিন্তু রায়ানের মা নারাজ। মল্লাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাবা থানায় গিয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে চাইলে পুলিশ জানায়, তারা যেহেতু করেনি তাই তারা প্রত্যাহার করতে পারবে না।
দু’দিন পর পারুলকে কোর্টে তোলা হবে, তারপর কিছু করা যেতেই পরে। পারুলের কাছে ক্ষমা চান মল্লারের বাবা যে সবার জন্য এত করেও পারুলকে চোর বদনাম পেতে হয়েছে। মল্লার বলে এই বিষয়ে রায়ানকে জানানো দরকার। পারুল দিব্যি দেয় যে, বিদেশে পড়াশোনা করতে গেছে রায়ান। এইসব বলে তাঁকে চিন্তায় যেন কেউ না ফেলে, পারুল নিজের লড়াইটা নিজেও লড়ে নেবে।
এদিকে বাড়িতে রায়ানের মা, শিরীন, টগর– সবাই পার্টি করতে থাকে পারুলকে তাড়ানোর জন্য। মল্লার এইসব সহ্য করতে না পেরে শিরীনকে বলে দেয় যে, সে এত খারাপ বলেই তার সঙ্গে খারাপই হয় সব সময়। ওই জন্যই শিরীন কোনদিনও রায়ানকে পায়নি আর পাবেও না। এরপর কোর্টে শুনানির দিন সবাই উপস্থিত হয়। পারুলের বিপক্ষে শিরীন তার মাকে বলে সবচেয়ে ভালো উকিল দাঁড় করায়।
আরও পড়ুনঃ বহুদিনের অপেক্ষার অবসান! ফের এক ফ্রেমে স্রোত-সার্থক জুটি! দর্শকের আবদার মেটাতে নতুন ধারাবাহিক নাকি ব্যক্তিগত জীবনের সুখবর দিলেন মৈনাক-স্বপ্নীলা?
শিরীন চায় যাতে পারুল মুক্তি না পায়। উকিল প্রথমেই তথ্য প্রমাণ আর যুক্তি দিয়ে প্রায় দোষী সাব্যস্ত করে দেয় পারুলকে। এদিকে পারুলের পক্ষে কোনও উকিল নেই। হঠাৎ করেই রায়ান হাজির হয়, সঙ্গে অভিজ্ঞ উকিল। পারুলকে জানায় যে, সে থাকতে কোনও ক্ষতি হবে না পারুলের। একদিনের বেলে মুক্তি পেয়ে প্রমাণ জোগাড় করে পারুল, পরবর্তী শুনানিতে নির্দোষ প্রমাণিত হয় সে।