বলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন তনুশ্রী দত্ত। যাকে ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে। তনুশ্রী ২০০৩ সালে মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত “ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া”তে বিজয়ী হয়েছিলেন। তারপর ২০০৪ সালে অভিনেত্রী “মিস ইউনিভার্স” এ ভারতের হয়ে প্রতিযোগী ছিলেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি “মিস ইউনিভার্স ২০০৪” এর প্রথম দশে এসেছিলেন।
বলিউডে তার অভিনয়ে হাতে খড়ি ২০০৫ সালে “আশিক বানায়া আপনে” ছবিতে জনপ্রিয় অভিনেতা ইমরান হাশমির বিপরীতে অভিনয় করে। তারপর থেকে তনুশ্রী “ভাগম ভাগ”, “36 চায়নাটাউন”, “ঢোল” “রিস্ক” ,”সাস্ বহু অ্যান্ড…”, “এপার্টমেন্ট” প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু তারপর থেকেই তিনি আস্তে আস্তে বলিউডের লাইম লাইট থেকে সরে যেতে থাকেন। বলিউডের লাইমলাইটে না থাকলেও তিনি বেশ কয়েক বছর আগে বলিউডের ভেতরের অন্ধকার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। আর সম্প্রতি তিনি এক সাক্ষাৎকারে বললেন যে সেই কথা বলার জন্য তাকে খুন করারও চেষ্টা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত অভিনেত্রী ২০১৮ সালে বলিউডে মি-টু আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং অভিনেতা নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য এবং পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীকে ‘‘হর্ন ‘ওকে’ প্লিজ’’ সিনেমার সেটে তাদের যৌ’ন-হেনস্থার জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন।
সম্প্রতি অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে যখন তিনি থাকতেন, তার গাড়ির ব্রেক অনেকবার খুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি তার কারনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহতও হয়েছিলেন। শুধু এতেই থেমে থাকেনি অভিনেত্রী তিনি বলেন, বিষ খাইয়ে তাকে প্রাণে মারারও চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, এক পরিচারিকা ছিলেন তার বাড়িতে। সেই সময় প্রায়ইশই অসুস্থ হয়ে পড়তেন অভিনেত্রী। তনুশ্রীর সন্দেহ, জলে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হত।