সঙ্গীতমহল আবারও স্তব্ধ। দীপাবলির উৎসবের আলো নিভে গেল হঠাৎ করেই এক অচিন্তনীয় অন্ধকারে। যে মানুষটি সুরে, গানে, অভিনয়ে ভরিয়ে রেখেছিলেন অসংখ্য অনুরাগীর হৃদয়—তিনি আর নেই। খবরটা যেন বিশ্বাস করাও কঠিন। সকলে ভাবছেন, এটা কি সত্যি? নাকি কোনও ভুল খবর! কিন্তু না, সংবাদ নিশ্চিত। আনন্দের মরসুমে হঠাৎ করেই ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীতজগতে।
যাঁর কণ্ঠে ভর করে বহু মানুষ খুঁজে পেয়েছিলেন প্রশান্তি, তাঁর জীবনযাত্রার সুর থেমে গেল অকস্মাৎ। দীপাবলির রাতে পরিবার ও ভক্তদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নিয়তি লিখে রেখেছিল অন্য কিছু। এক মুহূর্তে বদলে গেল সবকিছু—হাসিখুশি মুখের জায়গায় এখন শুধু নীরবতা। ঘনিষ্ঠ মহল থেকে শুরু করে ভক্তরা—সকলেই বাকরুদ্ধ।
তিনি ঋষভ তন্ডন। সবার প্রিয় ‘ফকির’। একাধারে গায়ক, সুরকার, অভিনেতা—বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন ঋষভ। ইনস্টাগ্রাম বায়োতে লেখা ছিল—“শিবের শক্তিতে আচ্ছন্ন একজন বিশ্বাসী।” সেই বাক্য যেন এখন আরও গভীর হয়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে তাঁর চলে যাওয়ার পর। মুম্বইবাসী ঋষভ দীপাবলির ছুটিতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। সেখানেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন, এবং সব শেষ হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে।
তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা জানাচ্ছেন, কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না তাঁর। উচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত, সদা হাসিখুশি এক মানুষ—যিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতেন চারদিকে। এমন একজন মানুষ, যাঁর প্রাণচঞ্চলতা ছুঁয়ে যেত সকলকে। তাই তাঁর চলে যাওয়া মেনে নেওয়া আরও কঠিন।
আরও পড়ুনঃ নাচে, অভিনয়ে আর স্টাইলিংয়ে বারবার দর্শকের মন জয় করেছেন মনামী ঘোষ, কিন্তু এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাকি মাঝেমধ্যেই সব কথা ভুলে যান? ঠিক কী ঘটছে তার জীবনে? অবশেষে নিজেকে নিয়েই মুখ খুললেন মনামী!
ভাইরাল ভায়ানি প্রথম ইনস্টাগ্রামে খবরটি প্রকাশ করেন, আর তারপর থেকেই শোকের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। অনুরাগীরা ভরপুর মন্তব্যে জানাচ্ছেন ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, অবিশ্বাস—সব একসঙ্গে। সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে এই মৃত্যু শুধু একজন শিল্পীর প্রয়াণ নয়, এক আবেগ, এক যুগের অবসান। দীপাবলির রাতের আকাশে আলোর মাঝে হারিয়ে গেল এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।