‘ আশিক হু মে, কাতিল ভি হু
সবকে দিলো মে, সামিল ভি হু’
সে আর কেউ নয়। বাদশা, শুধু নিজের জগতের নয়, বলিউডেরও নয়, সে গোটা জগতের বাদশা। যার জন্মদিনে পুরো পৃথিবী উৎসব করে।
তিনি আর কেউ নন, কিং খান, শাহরুখ খান। মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মানো তো দূর, একসময় স্কুলে যাওয়ার টাকাটুকু ছিল না। সেই কারণে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে নিজে টাকা জমিয়ে স্কুলে ভর্তি হন।
কিন্তু তাঁর চোখে ছিল অনেক বড় স্বপ্ন। মুম্বইয়ে বসে বলেছিলেন, মন্নত একদিন তাঁর হবে। আর আজ তাঁর সব স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তিনি সত্যিই বেতাজ বাদশা। আজ থেকে কুড়ি বছর আগে নেহা ধুপিয়া ট্যুইট করেছিলেন, বলিউডে শুধু সেক্স ও শাহরুখ খান বিক্রি হয়।
কার্যত সেই কথাকে সবসময়ই প্রাসঙ্গিক প্রমাণ করেছেন বাদশা। সে কারণেই চার বছর পর তাঁর কামব্যকে ভারতে যেন উৎসব লেগেছে। নিন্দুকের মুখে ছাই পড়েনি। ছাইয়ে নিন্দুকেরা ঝাঁপ মেরেছে।
ছবি রিলিজের তিন দিনের মধ্যে দেশের বক্স অফিসে পাঠানের গ্রস কালেকশন ছিল ২০১ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ছবির গ্রস আয় ১১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে, ৩১৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ইন্টারন্যশনালি ছবিটি বিপুল পরিমাণ হিট করেছে। আর তাই নিয়ে বেশ চর্চাও চলছে বিদেশে।
তবে কাম ব্যাক মোটেই সহজ ছিল না তাঁর জন্য। বিশেষ করে বিগত দশকে পাঠানের আগে প্রায় সবকটি সিনেমায় প্রায় ফ্লপ হয়েছিল। সবাই ধরে নিয়েছিল একটি যুগের অবসান ঘটতে চলেছে। কিন্তু সেটাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়েছেন কিং খান।
তবে মোটেই সহজ ছিল না এটা। মানসিক এক যন্ত্রণার পাশাপাশি ছিল অসম্ভব শারীরিক পরিশ্রম। ৫৭ বছরের এই লোকটি সার্কিট ট্রেনিং এবং কার্ডিয়ো ওয়ার্কআউট করে গিয়েছেন ক্রমাগত। করতে গিয়ে পেশি তে চোটও লাগে। কিন্তু থেমে যাওয়ার নাম তো শাহরুখ নয়। বরং সব বাঁধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নামই বাজিগর।