লুকিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন KK-র শো। কারণ তিনি যে কয়েকটি গায়ক-গায়িকার একনিষ্ঠ ফ্যান তার মধ্যে রয়েছেন কেকেও। কিন্তু হঠাৎ গায়কের এই মর্মান্তিক মৃত্যু। এই মুহূর্তে কী ভাবছেন বিখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী পৌষালী ব্যানার্জি?
তিনি যখন পৌঁছান সেই সময়ে বিশাল সংখ্যক ভিড় ছিল। কিন্তু দাবি তুললেন সেই তুলনায় এসি হয়তো কাজ করছিলো না। সেই নিয়ে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বলাবলিও করছিলেন পৌষালী। ঘামছিলেন তাঁরাও। অর্থাৎ এতক্ষণ ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে অভিযোগ উঠে এসেছে যে এতো ভিড়ে রীতিমতো কাজ করা বন্ধ করে দেয় এসিগুলি, সেই তথ্য সঠিক এটাই বলা যায় পৌষালীর ও মন্তব্যের পর। তারপরেই এই খবর। খবরে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন পৌষালী।
পৌষালী জানান তাঁর সবথেকে খারাপ লাগছে এটা ভেবেই যে এই প্রথম তিনি কেকের শো দেখতে গেলেন আর এটাই হয়ে গেলো তাঁর শেষ দেখা। তবে তিনি মুগ্ধ। জানিয়েছেন ওই বড় মাপের ন্যাশনাল লেভেলের শিল্পী হয়েও মাটির মানুষ কেকে। শিল্পী হিসেবে এবং মানুষ হিসেবেও পৌষালীর চোখে খাঁটি কেকে।
তবে এই ন্যাশনাল লেভেলের শিল্পীকে নিয়েই গতকালই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বাংলার গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। তিনি প্রশ্ন করেছেন “হু ইস কেকে?” বাঙালি দর্শকের বলিউডের প্রতি ঝোঁক নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। পাশাপাশি বেশ কিছু বাংলার শিল্পীর নাম উল্লেখ করে প্রশ্ন তুলেছেন এঁদের প্রতি কেন এই পরিমাণ উত্তেজনা দেখানো হয় না? এই নিয়ে প্রশ্ন করতেই রেগে গেলেন পৌষালী ব্যানার্জি নিজেই।
পৌষালী জানালেন এই নিয়ে “নো কমেন্টস”। তিনি বাঙালি হিসেবে এর জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী। শিল্পীর ধর্ম-জাত হয়না, বললেন পৌষালী। যাঁদেরকে দেখে শেখা যায় তাঁদের নিয়ে এমন মন্তব্য শিল্পী হয়েও রূপঙ্কর কেন করেছেন সেই উত্তর খুঁজছেন তিনি নিজেও। আবার এও জানালেন যে যাঁদের নাম নিয়েছেন রূপঙ্কর, তাঁরা সবাই আজ হসপিটালে ভিড় করেছেন কেকেকে শেষবার দেখতে। কারণ তাঁরাও কেকেরই ভক্ত। কিন্তু এর মধ্যে কীসের ফ্রাস্ট্রেশন রয়েছে রূপঙ্করের সেটা বুঝতে পারছেন না পৌষালী। তিনি বললেন কিছু কথা ডিলিট করতে হয়। গায়িকা পৌষালী গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর কথা “ডিলিট” করে দিলেন।