বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয়তম অভিনেত্রী হলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Moushumi Chattopadhyay)। রাজেশ খান্না, শশী কাপুর, জীতেন্দ্র, সঞ্জীব কুমার, বিনোদ মেহ্রা থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) মতো তাবড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন এই সুন্দরী বাঙালি অভিনেত্রী। প্রথমবার পরিচালক তরুণ মজুমদারের ( Tarun Majumdar) ছবিতে ধরা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বাংলা থেকে হিন্দি সিনেমায় তিনি নিজের চিরস্থায়ী আসন তৈরি করে ফেলেন। প্রচুর সিনেমায় অভিনয় করলেও আজও তিনি বাঙালি দর্শকের মনে রয়ে গেছেন বালিকা বধূ হয়েই।
মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এই নামটা শুনলেই আজও দর্শকদের মনে ভেসে ওঠে ওঠে তাঁর সেই ছটফটে কমবয়সী মুখটা। বুদ্ধিদীপ্ত চোখের চাহনি যেন কিছু খুঁজে চলেছে। ঝকঝকে হাসি, মুখের সারল্য আজও দর্শকদের মনে হিল্লোলের সঞ্চার করে। সেই সঙ্গে তাঁর অসম্ভব সুন্দর মুখশ্রীর কথা না বললেই নয়।
এহেন অভিনেত্রী নাকি শিকার হয়েছিলেন আরও এক অভিনেত্রীর ষড়যন্ত্রের। সম্প্রতি এমনই, বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশে এনেছেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। কার বিরুদ্ধে তিনি এই অভিযোগ করেছেন জানেন? আরও এক বাঙালির বিরুদ্ধে। কে তিনি? জানেন? তিনি বলিউডের শাহেনশাহর স্ত্রী বাঙালির অন্যতম গর্ব জয়া ভাদুড়ী ওরফে জয়া বচ্চন।
জয়া বচ্চনের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর?১৯৭২ সালেমুক্তি পায় গুলজার অভিনীত সিনেমা ‘কোশিস’। উল্লেখ্য, জানা গেছে, ওই ছবিতেই নাকি প্রথমে কাজ করার কথা ছিল অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের। শুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছিল জোর কদমে। কিন্তু তিনদিন শুটিং হয়ে যাওয়ার পর এই সিনেমা থেকে বাদ পড়েন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
কিন্তু এর সঙ্গে জয়ার যোগ কোথায়? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি শুটিং শুরু করার পর দেখেছিলেন জয়ার সেক্রেটারি নাকি সকাল থেকে রাত অবধি এসে অফিসে এসে বসে থাকতেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন শুটিং শুরু হওয়ার পর একদিন হঠাৎই গুলজার এসে তাঁকে জানান, আগামীকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুট করার জন্য। কিন্তু নিজের পরিবার এবং সন্তানকে সময় দেওয়ার জন্য নিজের কেরিয়ারের সঙ্গে আপস করতেও রাজি ছিলেন।
অভিনেত্রী গুলজারকে জানিয়ে দেন, তাঁর সন্তান ভীষণই ছোট আর তাই তাঁর পক্ষে এত রাত পর্যন্ত শুটিং করা সম্ভব নয়। যদিও এই নিয়ে নাকি গুলজারের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় মৌসুমীকে। গুলজার সবার সামনেই কার্যত মৌসুমকে বলেন ‘বহু নায়িকা লাইন দিয়ে আছে এই জায়গাটা পাওয়ার জন্য।’ স্পষ্টবাদী মৌসুমী জানিয়ে দিয়েছিলেন তাহলে তাঁদেরকেই নিয়ে নিন। এরপরই ওই ছবি থেকে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে জয়া বচ্চনকে নেওয়া হয়। মৌসুমী দেবীর অভিযোগ আড়ালে থেকে এই কাজ ঘটিয়েছিলেন জয়া। তাঁকে বাদ দেওয়ার পেছনে কাজ করেছিল জয়ার মস্তিষ্ক। উল্লেখ্য, ওই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান সঞ্জীব কুমার। আর শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের পুরস্কার ওঠে গুলজারের হাতে ।