সংগীত জগতে এর একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম হল কিশোর কুমার। যার গান বাংলার সংগীত জগতকে একটি আলাদা মর্যাদায় নিয়ে গিয়েছিল। যখন যখন ভারতের কিংবদন্তি গায়কের নাম উঠে আসবে তখন কিশোর কুমার সব সময় প্রথম সারিতে থাকবে। বছরের পর বছর বড় থেকে নতুন সব শিল্পী রাই যার ভক্ত তার নামই কিশোর কুমার। বলা হত ভারতীয় সংগীত জগতে তার মত সংগীত শিল্পী হয়তো আর কখনো আসেনি আর আসবেও না। সেই শিল্পীরই আজ মৃত্যু দিবস।
জন্মটা শিল্পী পরিবারে হলেও জীবনে অনেক কিছু পাওয়া থাকলেও শেষের দিকে বিষাদের জীবনী কাটিয়েছিলেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। এতটাই মজার মানুষ ছিলেন যে জীবনের শেষ দিনও স্ত্রীর সাথে মজার ছলে অনায়াসে কথা বলে গিয়েছিলেন। সকাল থেকে শরীর খারাপ করছিল বলে, তার স্ত্রী যখন ডাক্তার ডাকতে গিয়েছিল তখন তিনি তাকে বলেছিলেন,‘তুমি যদি ডাক্তারকে খবর দাও, আমার কিন্তু হার্ট অ্যাটাক হবে!’ আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে এমন কিছু অজানা গল্পের কথা আপনাদের বলব।
বলা হয় শিল্পীরা একটু খামখেয়ালি হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে কিশোর কুমার ছিলেন সত্যিই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তার বাড়ি থেকে গানের স্টুডিও সব জায়গাতেই তার উদ্ভট কান্ড কারখানা অস্থির হয়ে পড়তো লোকজন। শোনা যায় একবার ওয়ার্ডেন রোডের বাড়ির সামনে ‘কিশোর কুমার হতে সাবধান’! নেমপ্লেট ঝুলিয়েছিলেন তিনি। আবার শোনা যায় তিনি মধ্যপ্রদেশের যে বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই বাড়ির সামনে নাকি সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছিলেন ‘মেন্টাল হসপিটাল’ বলে।
তবে এত কিছুর মধ্যেও মানুষটাকে ভালবাসার লোক ছিল অগুন্তি । বলা চলে তার মৃত্যুর এতগুলো বছর পরেও তার বহু জনপ্রিয় গান লোকের মুখে মুখে। পুজো অনুষ্ঠান সব জায়গায় এখনো কিশোর কুমারের গানই চলে। সেসব গানের জনপ্রিয়তা কখনো কমেনি আর কমবেও না। প্রসঙ্গত কিশোর কুমারের জন্ম ১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট। তার আসল নাম আভাসকুমার গাঙ্গুলি। একাধারে যেমন কিংবদন্তি একজন গায়ক ছিলেন তার সঙ্গে ছিলেন একজন তুখোড় অভিনেতাও। ১৯৮৭ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৩ ই অক্টোবর মাত্র ৫৮ বছর বয়সের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।