জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

তার অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্তে পাশে ছিল না পরিবার, কঠিন স্ট্রাগল করে আজ সফল অভিনেতা ‘মন্দার’ দেবজ্যোতি

বাংলা টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা দেবজ্যোতি রায় চৌধুরী (Debyojyoti Roy Chowdhury) সম্প্রতি একটি আড্ডায় নিজের জীবন ও অভিনয় জীবনের অজানা গল্প শেয়ার করেছেন। ‘মন্দার’ ধারাবাহিকে তার চরিত্রটি ভক্তদের মনে অনেক ভালো জায়গা করে নিয়েছে। এই আড্ডায় দেবজ্যোতি জানিয়েছেন, অভিনয়ের প্রতি তার ভালোবাসা ও মন্দার চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে। তিনি বলেন, “মন্দারের চরিত্রটি আমার জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আমি অনেক কিছু শিখেছি।”

দেবজ্যোতি জানান, ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ ছিল, কিন্তু কখনও ভাবেননি যে এই পেশায় আসবেন। একদিন একটি অডিশনে অংশগ্রহণের পর তিনি বুঝতে পারেন, অভিনয় তার জন্য সত্যিই উপযুক্ত একটি পেশা। মন্দারের চরিত্রে অভিনয় করার পর তার জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে, এবং তিনি নিজেকে আরও পরিণত ও দায়বদ্ধভাবে দেখেন।

আড্ডায় দেবজ্যোতি আরও বলেন, “মন্দারের চরিত্রটি আমার জন্য খুবই বিশেষ। এটি এমন একটি চরিত্র, যার মাধ্যমে আমি শিখতে পেরেছি কীভাবে একজন ব্যক্তি নিজের আদর্শ ও মূল্যবোধে অবিচল থাকতে পারে, যে চরিত্রটি আমি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করছি।” তিনি জানিয়েছেন, এই চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার নিজের জীবনও কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে এবং তিনি নতুনভাবে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন।

এছাড়া, তিনি জানান, অভিনয়ে তার প্রথম অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত পেশাগত জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর মাধ্যমে তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। “এটি একটা যাত্রা। প্রতিটি চরিত্র নতুন কিছু শেখায় এবং আমার কাজের প্রতি ভালোবাসা আমাকে এই কঠিন সময়ে এগিয়ে চলতে সাহায্য করে,” বললেন দেবজ্যোতি।

শেষে, দেবজ্যোতির প্রতি দর্শকদের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক। বেশিরভাগ দর্শকই তার অভিনয়কে প্রশংসা করেছেন, বিশেষ করে ‘মন্দার’ চরিত্রের প্রতি তাদের আগ্রহ অত্যন্ত গভীর। কিছু দর্শক মন্তব্য করেছেন, “মন্দারের চরিত্রে দেবজ্যোতির মধ্যে একটি আলাদা ধরনের পার্সোনালিটি রয়েছে, যা তাকে অন্যদের থেকে একেবারেই আলাদা করে তোলে।” এই ধরনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তাকে আরও ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত করছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় চরিত্রে তাকে দেখতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ভক্তরা।

TollyTales NewsDesk

                 

You cannot copy content of this page