জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘সিরিজ বা ছবির অফার পেয়েছি, কিন্তু ভাগ্য খারাপ’— কেন এমন আক্ষেপ করলেন অভিনেত্রী দেবাদৃতা বসু?

টেলিভিশনের দুনিয়ায় দর্শকের মন জয় করা খুব সহজ নয়। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, চরিত্রে প্রাণ দেওয়া, আর দর্শকের ভালোবাসা—এই সব মিলিয়েই গড়ে ওঠে একজন শিল্পীর ক্যারিয়ার। তবে পর্দায় সাফল্য পেলেও জীবনের পথে সব সময় ফুল বিছানো থাকে না। কেউ কেউ চাইলেও বড়পর্দায় পা রাখতে পারেন না নানা কারণে। ঠিক তেমনই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবাদৃতা বসু, যিনি ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকের নীলু চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছিলেন।

দেবাদৃতার অভিনয়যাত্রা শুরু হয়েছিল নায়িকার চরিত্র দিয়ে। একাধিক ধারাবাহিকে তিনি মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবং প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কিন্তু ‘মিঠিঝোরা’-য় প্রথমবার দর্শক দেখল তাকে একেবারে ভিলেনের ভূমিকায়। নীলুর চরিত্রে তার উপস্থিতি এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে দর্শকের চোখে তিনি হয়ে ওঠেন গল্পের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র। নিজেও মনে করেন, নায়িকা কিংবা ভিলেন—দু’টিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে নিজের প্রতিভাকে পরখ করে নিতে চান তিনি।

নায়িকা থেকে ভিলেন—এই বদল নিয়ে যখন প্রশ্ন ওঠে, দেবাদৃতা জানান, ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করাই তার লক্ষ্য। কারণ, প্রতিটি চরিত্রই দর্শকের কাছে অভিনয়ের দক্ষতা তুলে ধরার সুযোগ। ভবিষ্যতে তিনি আবারও নায়িকার ভূমিকায় ফিরতে চান। তবে এখনকার পরিকল্পনা কিছুটা ভিন্ন। ছোটপর্দায় সাফল্যের পর তিনি চাইছেন বড়পর্দা ও ওয়েব সিরিজে কাজ করতে, যাতে দর্শকের একেবারে নতুন রূপে তাকে দেখা যায়।

তবে সব ইচ্ছা সহজে পূরণ হয় না। দেবাদৃতা নিজেই জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কিছু ছবি এবং সিরিজের অফার এসেছে তার কাছে। কিন্তু চুক্তির বাঁধনে আটকে যাওয়ায় তিনি সেগুলো গ্রহণ করতে পারেননি। নিজের ভাষায়, “সিরিজ বা ছবির অফার পেয়েছি, কিন্তু ভাগ্য খারাপ। কনট্রাক্টে ছিলাম, তাই করতে পারিনি।” এই আক্ষেপের সুর তার কণ্ঠে স্পষ্ট হলেও, তাতে হার মানেননি তিনি।

এখন দেবাদৃতার নজর নতুন কাজের দিকে। বড়পর্দা এবং ওয়েব সিরিজে নিজের জায়গা করে নেওয়ার স্বপ্ন তিনি বুনছেন। সুযোগ পেলেই নায়িকা বা ভিলেন—যে কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে প্রস্তুত তিনি। দর্শকদের মন জয় করার জন্য যে পরিশ্রম দরকার, তা করতে তিনি সদা প্রস্তুত। ছোটপর্দার সাফল্যের পর এবার তার চোখ বড়পর্দা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে, যেখানে হয়তো ভাগ্য এবার আর বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না।

Piya Chanda