একদিকে গোটা বাংলা যখন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে রূপঙ্কর বাগচীকে কেন্দ্র করে অন্যদিকে ওপার বাংলায় আলোচনা শুরু হয়েছে নায়ক হিরো আলমকে কেন্দ্র করে। কেকেকে নিয়ে মাত্র একটি মন্তব্যের জন্যে রীতিমতো বয়কট করার ডাক উঠেছে গায়ক রূপঙ্কর বাগচীকে। এদিকে আবার হিরো আলমকে গ্রেফতার করার দাবি।
কণ্ঠে কখনও বেসুরো রবীন্দ্রসঙ্গীত। কখনও সদ্যপ্রয়াত কেকে-র জনপ্রিয় গান। এভাবেই বারবার আলোচনায় উঠে আসছেন হিরো আলম। নেটমাধ্যমে তাঁর অ-সুর গানের দাপটে অতিষ্ঠ হাজার হাজার মানুষ। দেশের সংস্কৃতির অসম্মান করছেন আলম, এমন দাবি করছে অনেকেই।
তবে এইসব দাবি করে আটকে রাখা যাচ্ছে না আলমকে। অগত্যা তাঁকে ঠেকাতে মানববন্ধনের আয়োজন করল ‘বাংলাদেশ অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ সংস্থা’। ১৪ জুন মঙ্গলবার, বিকেল ৪টেয় ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন করা হল। উপস্থিত ছিলো সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়াও ধারাভাষ্যকার আরিফুল ইসলাম কাজল-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও ছিলেন।
নেটমাধ্যমে শুরু থেকে সফল ইউটিউবার হিসেবে হামেশাই চর্চায় থাকেন আলম। পাশাপাশি তিনি সফল গায়ক-নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্যোগী। ’দিন আগেই গেয়েছেন রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আমার পরান যাহা চায়’। শুধু তাই নয়, শোনা গিয়েছে বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী মৌসুমী ভৌমিকের ‘আমি শুনেছি সেদিন তুমি’ গানটিও।
সদ্যপ্রয়াত গায়কের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘জিন্দেগি দো পল কি’ গানটি গাইতেই রেরে করে উঠলো মানুষ। সুস্থ ধারার সংস্কৃতিকে বিকৃত করার বিরুদ্ধে কাজ করা সংগঠনটির সভাপতি বিপ্লব শরিফ বলেন, এত দিন হিরো আলমকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে যা সে দেশের মানুষের আবেগ, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। শুধুই বেসুরো গান নয়, তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হয়েছে। রবীন্দ্রসঙ্গীত বিকৃতির দায়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হলো এবার।