জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নিজের IVF ডিম্বাণু ডোনারের গোপন পরিচয় দিদি নং ওয়ানে ফাঁস করে দিলেন এক প্রতিযোগী!’এটা অন্যায়, টিআরপির জন্য পরিচয় ডিসক্লোস করা যায় না এভাবে’, রেগে লাল ভুক্তভোগী

জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো হলো দিদি নং ওয়ান। প্রত্যেক দিন বিকাল বেলায় এবং রবিবার রাতের বেলায় হয় এই রিয়েলিটি শোটি দেখতে দেখতে দশ বছর হয়ে গেল রচনা ব্যানার্জীর সঞ্চালনায় তুখোড় ভাবে এগিয়ে চলছে এই গেম শো। মাঝে দেবশ্রী রায় একবার সঞ্চালনা করেছিলেন কিন্তু সেই সম্পর্কই ছিল এছাড়াও জুন মালিয়ার সঞ্চালনাও কিছুদিন দেখেছিল বাঙালি তবে রচনা ব্যানার্জি কে ছাড়া দিদি নং ওয়ান এর সঞ্চালনা ভাবাই যায় না।

এই শর্তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মহিলারা আসেন এবং তাদের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন তবে এর আগে বহুবার অভিযোগ উঠেছে যে তারা যে কথাগুলো বলেন সেগুলো সব সত্যি নয়। অনেক বাড়িয়ে রং চং মাখিয়ে বলানো হয়‌। সম্প্রতি আরও একটি এপিষদে এমন কান্ড ঘটল যা বেশ কিছু মানুষের নিরাপত্তা কে বিঘ্নিত করবে।

যারা সন্তান হওয়ার জন্য আইভিএফ ট্রিটমেন্ট করেন, তারা কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যান সেটা তারা নিজেরাই জানেন। যারা নিজেদের শরীরে আইভিএফ করছেন সন্তান লাভের আশায় তাদের পরিচয় আমরা জানি। এক্ষেত্রে ইনজেকশনের মাধ্যমে তাদের ডিম্বাশয় বড় করে তাদের থেকে ডিম্বাণু নিয়ে সেটির নিষেক ঘটিয়ে ভ্রূণকে তাদের গর্ভেই স্থাপন করা হয়। এছাড়াও আছে এগ ডোনার। অনেক মহিলাদের ডিম্বাণু উৎপাদন হয় না কিন্তু তাদেরও তো মা হতে ইচ্ছা করে। সেজন্যই আইভিএফ সেন্টারে বেশ কিছু এগ ডোনার থাকে। যাদের মধ্যে অনেকেই ন্যাচারাল ডিম্বাণু দেন আবার অনেককে ইনজেকশনের মাধ্যমে ডিম্বাশয় বড় করিয়ে তাদের থেকে ডিম্বাণু নেওয়া হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ায় তাদের পরিচয় গোপন থাকে। যিনি মা হচ্ছেন তিনি কখনই জানেন না যে কোন মহিলার শরীরে ডিম্বাণু দিয়ে তৈরি ভ্রূণ তার ভেতর প্রবেশ করছে।

কিন্তু সম্প্রতি দিদি নং ওয়ানের এপিসোডে একজন মহিলা এসেছিলেন তার নাম মামন বিশ্বাস। বোঝায় যাচ্ছে খুব একটা বেশি পড়াশোনা করেননি এবং তার কথাবার্তায় ছিল সরলতার ছোঁয়া। তিনি সকলের সামনে বলেন যে আমি এগ ডোনেট করি। আট দশ দিন ইনজেকশনের মাধ্যমে আমার ডিম্বাশয় বাড়ানো হয় এবং আমার থেকে ডিম্বাণু নেওয়া হয়। এইভাবে তিনি বহু মহিলাকে মা হতে সাহায্য করেছেন। তিনি আইভিএফ ট্রিটমেন্ট এর পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন রচনার সামনে‌। একবার এক ডোনেট করলে তিনি কুড়ি হাজার টাকা করে পান সেটাও বললেন। এছাড়াও তিনি এই কাজে আরো মহিলাদের নিয়ে এসেছেন।

এখানেই আপত্তি তুলেছেন কিছু নেটিজেন বিশেষ করে যারা আইভিএফ প্রসেসের সঙ্গে যুক্ত। তারা বলছেন যে এভাবে একটা টেলিভিশন চ্যানেলে কোন ডোনারের পরিচয় ফাঁস করা যায় না। আমরা কোনদিনও কোন এগ ডোনারের পরিচয় কিন্তু কারোর মুখে শুনবো না।কেউ কখনো প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা টেলিভিশন চ্যানেলে দাবি করতে পারেন না যে আমি এগ ডোনার কারণ তাদের পরিচয় গোপন রাখতে হয়।তিনি খুবই ভালো কাজ করছে অনেক মহিলার মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন কিন্তু তার পরিচয় বেরিয়ে এলে তিনি যেখানে এই কাজ করেন সেখানে কাজের সমস্যা হতে পারে।

এ নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন একজন নেটিজেন এবং তিনি জানিয়েছেন যে তিনি নিজে ভুক্তভোগী তাই এভাবে কখনোই একজন ডিম্বাণু ডোনারের পরিচয় পাবলিকলি প্রকাশ করা উচিত হয়নি চ্যানেলের। এই ভিডিওটি ডিলিট করা হোক অথবা কথাগুলোকে মিউট করে দেওয়া হোক তিনি এটাই চাইছেন।
Didi No.1 Egg Donar Mamoni comment

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page