জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“শাঁখা-পলা, সিঁদুর পরার অর্থ একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা! ইচ্ছে থাকলে বিয়ে করো!” “রীতি-রেওয়াজ নিয়ে ছেলেখেলাটা ফ্যাশন নয়, সংস্কৃতির অপমান!”— সধবা বেশে জেসমিনের বরণ ও সিঁদুর খেলা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া!

দুর্গাপুজোর আনন্দ নিয়ে কেটে গেল পুজোর পাঁচ দিন। ঘরবাড়ি, বাজার, রাস্তা—সকলে যেন উৎসবের আমেজে মাতোয়ারা। দশমীর দিন পারিবারিক রীতি অনুযায়ী দুর্গামাকে বরণ করে সধবা মেয়েরা। এই দিন লাল পাড়ের সাদা শাড়ি, হাতে শাঁখা পলা আর সিঁথিতে ভর্তি সিঁদুর—এটাই বাঙালি সংস্কৃতির পরিচিত দৃশ্য। কিন্তু চলতি বছরের দশমীতে সেই রীতিকে ঘিরে হঠাৎই নেটিজেনদের মধ্যে প্রশ্ন উঠল।

অভিনেত্রী জেসমিন রায়কে দশমীর দিন লাল-পাড়ের সাদা শাড়িতে দেখা গেল, হাতে শাঁখা পলা, সাধারণভাবে বিবাহিত মেয়েরা যেইভাবে সাজে। কিন্তু জেসমিন বিয়ে না করেও এই সাজে হাজির হয়েছিলেন। এটা নিয়েই নেটিজেনরা প্রশ্ন তুললেন, “বিয়ে না করেও কি শাঁখা পলা পরা যায়?” কেউ আবার ফ্যাশনের নামে এই অভ্যাসকে কটাক্ষও করলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের ঢেউ ছিল ব্যাপক। একজন লিখলেন, “তুমি শাঁখা পলা পড়ছো, বুঝলাম না? হিন্দু মতে বিয়ে হলে শাঁখা পলা পড়া উচিত।” অন্য একজন প্রশ্ন তুললেন, “শাঁখা পলা কি এখন ফ্যাশন হয়ে গেছে?” আবার একজন লিখেছেন, “এত ইচ্ছে থাকলে বিয়ে করেই শাঁখা পলা পড়ে নেওয়া উচিত।” এই সমস্ত সমালোচনার মধ্যেই জেসমিন নিজের পক্ষ থেকে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হলেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, “ওগুলো মোটেই শাঁখা পলা নয়। এগুলো লাল সাদা চুড়ি যা দেখতে শাঁখা পলার মতো। প্রতি বছরই এই প্রশ্ন আসে, তাই খুব একটা গুরুত্ব দিই না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমস্ত মন্তব্য আমাকে ভাবায়।” জেসমিন আরও বলেন, “কে কী পরবেন, তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনো মানেই নেই।”

অভিনেত্রীর এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেল, সংস্কৃতি বা রীতিকে মেনে চলা আর ব্যক্তিগত পছন্দ আলাদা বিষয়। শারীরিক সাজ, আভূষণ বা পুজোর সাজ—সবই ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অংশ। জেসমিনের সরল বক্তব্য এবং স্পষ্ট ব্যাখ্যা অনেকের মন থেকে বিভ্রান্তি দূর করেছে। এই দশমীতে তিনি দেখালেন, বাঙালি ঐতিহ্য মেনে চলা যায়, তবে তার ব্যাখ্যা ব্যক্তিগত ইচ্ছে অনুযায়ীও করা যায়।

Piya Chanda