জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মেয়ে জন্মাতে না জন্মাতেই সংসারের প্রতি অনীহা কাঞ্চনের! ভাঙনের সুর সংসারে, বিচ্ছেদের পথে কি টলিপাড়ার জনপ্রিয় জুটি?

টলিপাড়ায় সম্পর্কের জটিলতা নতুন কিছু নয়। প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ—এই জগতের অংশ হয়ে উঠেছে বহু তারকা জুটির জীবনে। কখনও গোপনে, কখনও প্রকাশ্যে তাঁদের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি আবারও এমনই একটি তারকা জুটির সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এ কি সত্যিই বিচ্ছেদ, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও কাহিনি?

টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও তাঁর স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের প্রেমের গল্প বহুদিনের। অভিনয় থেকে রাজনীতি, নানা ক্ষেত্রে ব্যস্ত এই দম্পতি। মাত্র এক বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। তাঁদের সংসার আলো করে এসেছে ছোট্ট কন্যাসন্তান কৃষভি। তবে পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও এই দম্পতি নিজেদের আধ্যাত্মিক জীবনে সমান মনোযোগী। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেই ধরা পড়ে সেই আধ্যাত্মিকতার ছাপ।

সম্প্রতি একটি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, কাঞ্চন-শ্রীময়ী নাকি সংসার ছেড়ে আধ্যাত্মিক জীবনে পা রেখেছেন। কিন্তু না, বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। বরং তাঁরা বেলুড়মঠ থেকে দীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শ্রীময়ী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, সংসার ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। বরং আধ্যাত্মিক পথে নিজেদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাইছেন তাঁরা। শ্রীময়ী জানিয়েছেন, রামকৃষ্ণ দেব ও সারদা মায়ের প্রতি তাঁদের গভীর ভক্তি রয়েছে।

শ্রীময়ীর একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, তাঁদের বাড়ির দেওয়ালে সাজানো রয়েছে রামকৃষ্ণ দেব, সারদা মায়ের ছবি, এবং আরও কিছু পারিবারিক ছবি। কাঞ্চন এবং তাঁর মায়ের একটি পুরনো ছবির কথা উল্লেখ করে শ্রীময়ী বলেন, এটি তাঁর প্রিয় ছবি। এছাড়াও, পুরী থেকে আনা জগন্নাথ দেবের ছবিও তাঁদের ঘরে বিশেষ স্থান পেয়েছে। শ্রীময়ী জানালেন, কাঞ্চন জগন্নাথের বড় ভক্ত।

কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়িতে নিত্য পুজো-পার্বণের আয়োজন লেগেই থাকে। সম্প্রতি তাঁরা পৌষ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাড়িতে পুজোর আয়োজন করেছিলেন। এছাড়াও, বীরভূমের নন্দিকেশ্বরী মন্দির এবং উত্তর কলকাতার শ্যামসুন্দরী মন্দিরে পুজো দিয়ে ভক্তিভরে দিন কাটিয়েছেন তাঁরা। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে তাঁদের অংশগ্রহণ দেখে ভক্তমহলেও প্রশংসার ঝড় উঠেছে। এই দম্পতির আধ্যাত্মিক পথচলা টলিপাড়ায় এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।