বাংলা টেলিভিশনের এক সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল জি বাংলার ‘মিঠাই’। একটা সময় পরপর বহু সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকার শীর্ষস্থান দখল করলেও বর্তমানে তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গেছে। তাই ধারাবাহিক কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে ধারাবাহিকের গল্পের কিছুটা মোর ঘোরানোর। যাতে আবার মিঠাই জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্থান পেতে পারে।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে মিঠাইয়ের সাথে একটি হালুম নামের বাচ্চা ছেলের দেখা হয়েছে যে এখন মনোহরাতেই রয়েছে, তাকে মোদক পরিবারের সবাই ভালোবেসে ফেলেছে। মিঠাই এবং সিদ্ধার্থ হালুমকে এতটাই আকড়ে ধরেছে যে তারা তাকে ছাড়তে চায় না।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে হালুমকে কিছু গুন্ডা তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু হালুম তাদের চিনতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে আসে এবং সিদ্ধার্থর সাথে তার দেখা হয়ে যায়। এবং তাকে বাড়ি নিয়ে আসার কিছুদিন পরে তার প্যান্টের পকেট থেকে একটি চিরকুট পায় যেটি পুরো সাদা, তারপর হঠাৎ ইস্ত্রির তাপ লাগতে সেটিতে ‘হেল্প’ লেখা ফুটে ওঠে। তখন রাতুল এবং রুদ্রর সন্দেহ হয় এবং রাতুল সেটিকে মোমবাতির তাপে ধরে একটি গোপন কোড পায়। সেটিকে রুদ্র যাচাই করে একটি ঠিকানা পায় যেটি মিঠাইদের একটি দোকানের পিছনে অবস্থিত। সেখানে রুদ্র তার কিছু পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে সেখান থেকে কিছু ফটো তুলে আনে। সিদ্ধার্থ মিঠাই যখন সেগুলি দেখছিল তখন হালুম সেগুলি দেখে ভয় পায় এবং তার মায়ের কথা উল্লেখ করে।
পরবর্তী পর্বে আমরা দেখতে চলেছি মিঠাই সিদ্ধার্থ এবং রাতুল শ্রীতমা সেই গোডাউনে ছদ্মবেশে যাওয়ার প্ল্যান করে কিন্তু হালুম মিঠাই কে সেখানে যেতে দেয় না, তাই তারা তিনজন যায়। সেখানে গিয়ে তারা সেই গুন্ডাদের দেখতে পায় যারা হালুম কে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। আর শোনে সেই গুন্ডাগুলি তাদের বসের সাথে ফোনে কথা বলছে। এবং উল্টোদিকে মিঠাই হালুমকে নিয়ে তাদের মিষ্টির দোকানে পৌঁছায় আর হালুম সেই গোডাউনের দিকে দৌড়ে চলে যায়। মিঠাই তার পিছন পিছন যায় এবং সেই গোডাউন টাকে চিনতে পারে। তখনই মিঠাই সেখানে আসে এবং আদিত্য আগারওয়াল তাদের দেখতে পায়। তখনই সে ভাবতে থাকে যে এটাই কি সেই বাচ্চাটা যার বাবা মাকে তারা আটকে রেখেছে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মিঠাই আদিত্য আগারওয়াল কে দেখতে পেয়ে সেখান থেকে হালুম কে নিয়ে সরে যায়।
এবার দেখার পালা যে সিদ্ধার্থ মিঠাই শ্রীতমা রাতুল এবং রুদ্র মিলে কি হালুমের মা-বাবাকে উদ্ধার করতে পারবে! আর কেনই বা তার বাবা-মাকে গুন্ডারা আটকে রেখেছে। এই সত্যটাও কি উদঘাটন করতে পারবে!