টলিপাড়ার একাধিক পরিচিত মুখ এখন নিয়মিত দেখা যাচ্ছে রাজনীতির অঙ্গনে। এই তালিকায় লকেট চট্টোপাধ্যায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সায়নী ঘোষ এবং জুন মালিয়ার মতো নাম রয়েছে। রাজনৈতিক ব্যস্ততার পাশাপাশি কেউ কেউ মাঝে মাঝে অভিনয়েও ফিরছেন, আবার অনেকেই বেশ কিছু বছর ধরে ক্যামেরা থেকে দূরে। ফলে তাঁদের চেহারায় বা গড়নে কিছু পরিবর্তন আসা খুব স্বাভাবিক বিষয়। তবুও সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ নিয়মিত তাঁদের শরীরী গড়নকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করে যাচ্ছে, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ লকেট।
দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় থেকে দূরে লকেটের শরীরের আগের ছিপছিপে ভাব আর নেই। একইভাবে সায়ন্তিকার ক্ষেত্রেও স্পষ্ট কিছু বদল এসেছে। এই স্বাভাবিক পরিবর্তন নিয়েই বহু বার অকারণ সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন দুই অভিনেত্রী। নেটমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্যের ঢল দেখে বিস্মিত লকেট জানালেন যে মানুষের ব্যক্তিগত গড়ন নিয়ে এমন আলোচনা অপ্রয়োজনীয় এবং অত্যন্ত বিরক্তিকর।
রাজনীতির জগতে যে জীবনযাত্রা কতটা অনিয়মিত হতে পারে তা অকপটে স্বীকার করলেন বিজেপি নেত্রী। তিনি জানান দিনের বেলায় খাওয়ার সময়ই থাকে না অনেক সময় দুপুরের খাবার বিকেলেই খেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে শরীরের ওপর তার প্রভাব পড়বে এটাই স্বাভাবিক। লকেটের মতে কাজের প্রতি মনোযোগ রাখতে গেলে সব সময় নিজের গড়ন নিয়ে চিন্তা করা সম্ভব নয় এবং প্রয়োজনও নেই।
এই প্রসঙ্গে লকেট সায়ন্তিকার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন চেহারা নিয়ে আক্রমণ একেবারেই অনুচিত। অভিনয়ে থাকলে শরীরচর্চার উপর জোর দেওয়ার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু রাজনীতি একেবারেই ভিন্ন জগত যেখানে কাজই সবচেয়ে বড় পরিচয়। তাই শুধুমাত্র চেহারা দেখে কাউকে বিচার করা মানসিকতার দারিদ্র্যের পরিচয়।
আরও পড়ুনঃ ‘সঙ্গীত যখন সব কিছুর সঙ্গে মিশে যায় তখন অভিনবত্ব হারিয়ে ফেলে! তাই আমি এখন আর গানই করি না!’—রিয়েলিটি শো ও ভাইরাল সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ক্ষো’ভ উগরে দিলেন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী! ভাইরাল দুনিয়ার দাপট সংগীতকে কোথায় ঠেলে দিচ্ছে সেই নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি!
শেষে লকেট স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে মানুষকে তার কাজ দিয়ে বিচার করা উচিত। চেহারা বা ওজন কখনই মানুষের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। শিল্পী বা রাজনৈতিক কর্মী যে ক্ষেত্রেই থাকুন না কেন তাঁদের শ্রম এবং কাজই আসল পরিচয়। চেহারা নিয়ে অকারণ সমালোচনা সমাজের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি ব্যক্তি বিশেষের জন্যও অত্যন্ত অপমানজনক।
