জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নিজের দিদির চরম ক্ষতি করল নীলু! রাই-অনির্বাণের ফুলশয্যায় শেষ হাসি হাসল সে! এক নিমেষেই রাইকে অবিশ্বাস করল অনির্বাণ

জি বাংলার মিঠিঝোরা (Mithijhora new episode) ধারাবাহিকটি দর্শকদের বেশ পছন্দের। ‌রাই, নীলু আর স্রোতের জীবনের নানা ওঠাপড়া নিয়ে এগোচ্ছে ধারাবাহিকের গল্প। জীবনের নানা টানাপড়েন ওঠা নামা সবটা নিয়েই পারিবারিক এই গল্প। রাই অনির্বাণের বৌভাতে উপস্থিত হয়েছে রাইয়ের পরিবার।সকলকে দেখে বেশ আনন্দিত রাই । কিন্তু সংশয়ের বসে রাই বলে মনে হচ্ছে বিয়েটা যেন খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গেল আরো সবকিছু ভেবে দেখলে হত অনির্বাণের মা বাবা ভাবার সময় পেতো। মেয়ের এই দুশ্চিন্তার কথা শুনে রাইয়ের মা বলে বসে তোকেও কি অনির্বাণের মা কিছু বলেছে। রাই জিজ্ঞেস করে তোকেও কি মানে, তোমাদের কি কেউ কিছু বলেছে আমাকে বলো। তবে রাইয়ের কথা আড়াল করে দেয়।

ধারাবাহিকে (Mithijhora) দেখা গেছে, সকলকে অবাক করে শৌর্য রাই অনির্বাণের বৌভাতে এসে উপস্থিত হয়েছে। তাকে নিয়ে ভয় রয়েছে শৌর্যের পরিবারের লোকজনেরা। যেন বেফাঁস কিছু করে না বসে।সকলকে ডেকে জানায় যে শৌর্য রাই অনির্বাণকে অনেক আগে থেকে জানে। এবং তাদের এমন একটি কথা জানে যা এখানে কেউ জানে না। কী কথা বলবে শৌর্য, এই কথা ভেবে সকলেই বেশ চিন্তায় পড়ে যায়। অনির্বাণ ভেবে নেয় রাইয়ের অসম্মান হলে কোনভাবেই ছেড়ে কথা বলবে না। তবে আবার সকলকে অবাক করে দিয়ে শৌর্য জানায় যে রাই অনির্বাণের আলাপ হয়েছে একটি গানের শোতে।

ধারাবাহিকের (Mithijhora) আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির লোক চলে যাওয়াতে কাঁদছে রাই। সে সময়ই এক অপরিচিত ছেলে এসে অনির্বাণের হাতে একটা গিফট দিয়ে যায়। সেই ছেলে জানায় সে রাইয়ের বন্ধু। রাইকে গিফটা দিতে বলায় সেই ছেলেটি জানায় যে এখন বাড়ির লোকের সাথে আছে কান্নাকাটি করছে আপনিই নিয়ে নিন। এই বলে অনির্বানের হাতে গিফটটা দিয়ে চলে যায়।

উল্লেখ্য, রাই অনির্বাণের ফুলশয্যা। তারা নিজেদের মধ্যে নানান কথা বলছে। নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত তারা। এই সময় অনির্বাণের বোন আসে ফুলশয্যার নিয়ম অনুযায়ী দু গ্লাস দুধ নিয়ে। এবং রাইয়ের জন্য একটি উপহার দিয়ে যায়। ‌ সেই উপহারে কি আছে তা নিয়ে কৌতুহল জাগে অনির্বাণের। তখনই অনির্বাণ রাইয়ের বন্ধুর দেওয়া আবার সেই স্পেশাল গিফটটি দেখতে পায়। তখন অনির্বাণ রায়কে জানায় যে তোমার একটা বন্ধু এই উপহারটি দিয়েছে। রাই জানায় তার কোন এমন ছেলে বন্ধু নেই। তবে উপহারটি খুলতে বলে অনির্বাণকে।

গিফটি খোলার সঙ্গে সঙ্গেই স্তব্ধ হয়ে যায় অনির্বাণ। তাই জিজ্ঞেস করে কি হলো। তখন সে দেখতে পায় শৌর্যের সাথে রায়ের নানান ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি কেউ উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে তাকে। দেখেই রাই বলে এসব কিছু মিথ্যে। প্রায় এর প্রতি সব ভরসা এক মুহূর্তে শেষ হয়ে যায় অনির্বাণের। অনির্বাণ এসব ছবি দেখে রাগের বশে রাইকে বলে নিশ্চয়ই আরো ছেলের সাথে এমন সময় কাটিয়েছ। এর আগে যেদিন রাই ও শৌর্যের ফোন একসাথে নট রিচেবল পেয়েছিল সেইদিন নিয়ে সন্দেহ করতে থাকে। তাদের মধ্যে একটা অবিশ্বাস তৈরী হয়।

প্রসঙ্গত, দেখা যায় নীলু ওই ছেলেটিকে পাঠিয়েছিল। ওই ছেলেটিকে টাকা দেওয়ার জন্য নীলুর কাছে টাকা নেই তাই বালা দিয়েছে ওই ছেলেটিকে। ওই ছেলেটা জানতে চায় কার সাথে আপনি এমন করলেন। নীলু জানায় ওটা আমার দিদি। ‌ নীলুর চালে ভেস্তে গেল রাই অনির্বাণের ফুলশয্যা। নীলু ভাবতে থাকে কবে ওই গিফট খুলবে তারা। তবে ইতিমধ্যে ওই গিফটটি খুলে ফেলা হয়েছে। অনির্বাণ ভীষণ কষ্ট পেয়েছে সব ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন রাইয়ের থেকে। এবার কি হতে চলেছে, জানতে হলে দেখতে হবে মিঠিঝোরা ধারাবাহিকটি ( Mithijhora)

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।