জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

কারর প্রতি রাগ নেই, ক্ষোভ নেই! জীবনে যা ঘটেছে সেটাকে মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য! ক্ষমা মানুষ কি করে করবে? সেটা তো ঈশ্বরের কাজ! অকপট নীলাঞ্জনা

টলিউড অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা শর্মা এবং যিশু সেনগুপ্তকে ঘিরে বহুদিন ধরেই নানা জল্পনা চলেছে, যদিও তাঁরা কখনও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। গত এক বছরে নীলাঞ্জনার জীবনের ছবি আমূল বদলে গিয়েছে। সম্প্রতি তিনি জানালেন, সিঙ্গল মা হিসেবে পথ চলা সহজ নয়, কিন্তু এখন তিনি নিজের জীবনের সেরা জায়গায় আছেন। তাঁর দুই মেয়ে সারা ও জ়ারা— একজন মুম্বইয়ে মডেলিংয়ের কাজ নিয়ে ব্যস্ত, অন্যজন স্কুলে পড়াশোনায় মনোযোগী।

গত বছরটা নীলাঞ্জনার কাছে ছিল চরম ব্যস্ততার। নিজস্ব প্রোডাকশন সংস্থা শুরু করা, মেয়েদের আলাদা আলাদা জায়গায় সামলে রাখা, বাবার অসুস্থতা— সব মিলিয়ে মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাজ তাঁকে ধরে রেখেছে, বললেন নীলাঞ্জনা। কাজের চাপই তাঁকে চোখের জলের সময় দেয়নি। ধীরে ধীরে তিনি নিজের ছন্দ ফিরে পেয়েছেন এবং বুঝেছেন যে জীবনে থেমে থাকলে চলবে না, ঘুরে দাঁড়ানোই একমাত্র উপায়।

৫০ বছরে পদার্পণের সময় মহাকুম্ভে গিয়ে তিনি নিজের জীবনের মোড় ঘুরতে দেখেছেন। কাশী বিশ্বনাথ, কালভৈরব ও হনুমানজির দর্শন তাঁকে নতুন শান্তি দিয়েছে। আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী নীলাঞ্জনা মনে করেন, ক্ষমা করার দায়িত্ব ঈশ্বরের। তিনি বলেন, তাঁর কারও প্রতি কোনও রাগ নেই, আফসোস নেই। জীবনে যা ঘটেছে, তা মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য।

দুই মেয়েকে নিয়ে তাঁদের একটি ছোট্ট ফ্যামিলি গ্রুপ আছে, যেখানে তিন জনেই নিজেদের ব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। সিঙ্গল মা হিসেবে পথ চলা এখনও কঠিন বলে মনে করেন নীলাঞ্জনা। কখনও দিন ভালো যায়, আবার কখনও নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তবে মাতৃত্বের কঠিন পথ তাঁকে আরও শক্ত করে তুলেছে। তাঁর মা একসময় বলেছিলেন, ‘মা হলে বুঝবি’, আজ সেই কথার গভীরতা উপলব্ধি করছেন তিনি।

এখন তাঁর দিন কাটে দুই মেয়ের ব্যস্ততা সামলে, কাজের মিটিং এবং নিত্যনতুন পরিকল্পনায়। বড় মেয়ের কাজের টুর, ছোট মেয়ের স্কুল ও নিজের প্রোডাকশনের দায়িত্ব— সব মিলিয়ে জীবন অনেক ব্যস্ত। কিন্তু সেই ব্যস্ততাই তাঁর শক্তি। সারাকে মুম্বইয়ে থিতু করা থেকে শুরু করে জ়ারার স্কুলের নতুন অধ্যায়— সবকিছুর মাঝেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন নিজের নতুন করে বাঁচার পথ।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page