দিদি নাম্বার ওয়ান। বাঙালি মহিলাদের জন্য এমন একটা মঞ্চ যে মঞ্চে তারা নিজেদের তুলে ধরতে পারে আর পাঁচটা মানুষের কাছে। জি বাংলা বাঙালি সাধারণ মহিলাদের কথা মাথায় রেখেই এই মঞ্চ তৈরি করেছে যেখানে নতুন নতুন প্রতিভার বিকাশ করতে পারে।
জি বাংলার এই মঞ্চ বহুদিন ধরে বহু সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিদের এনেছে অতিথি হিসেবে এবং প্রতিযোগী হিসেবে। খেলার ছলে আড্ডায় গল্পে মেতে থাকেন সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি এবং বাকি দিদিরা। সেখানে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন যেমন উপস্থাপিত হয়েছে তেমনি সামনে এসেছে বহু লড়াইয়ের গল্প, বহু অনুপ্রেরণার গল্প। কিন্তু এ কী? এ কেমন নেগেটিভ পাবলিসিটি করছে দিদি নাম্বার ওয়ান? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
আপনারা হয়তো ভাবছেন এমন কি হলো এই মঞ্চে যে হঠাৎ করে এত ক্ষেপে গেল দর্শকরা? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অনুষ্ঠানের কোন এক পর্বের একটি বিশেষ অংশ। সেখানে শাশুড়ি তার বৌমার ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করেছে দিদি রচনা ব্যানার্জির সামনে। ভিডিওটির শুরু হচ্ছে এই কথা দিয়ে যে “চাকরিরত বৌমা হলে শাশুড়ির কপাল গেলো পুড়ে”। কেনো এমনটা বললেন তিনি?
ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মহিলা। তাঁর নাম শর্মিলা সরকার। তিনি যুক্তি দিয়ে বললেন যে ছেলে হয়তো এসেছে অফিস থেকে এবং তারপর মা ছেলে মিলে দুটো খেতে খেতে গল্প করছে। এমন সময় বৌমা এসেই দেখলো দুজন মিলে খোসাজে গল্প করছে আর গটগট করে চলে গেল। তারপরে নিজের মাকে নালিশ করে কাঁদো কাঁদো গলায় সে বলে উঠলো অফিস থেকে খেটেখুটে এলাম আর ওকে দেখছি মায়ের সাথে গল্প করছে। অর্থাৎ এখানে বৌমাকে নিচু দেখানো হলো।
এই পুরো বিষয়টা হেসে হেসে শুনেছেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। এই বিষয়টাতে ঘোরতর আপত্তি দর্শকদের। এমন নিচু মানসিকতার পরিচয় কি করে দিতে পারে জি বাংলার একটা অনুষ্ঠান যা গোটা বাংলার মানুষ দেখে? প্রশ্ন তাদের। শুধু তাই নয় এই নিয়ে বহু মানুষ সরব হয়েছে কমেন্ট বক্সে। ওই মহিলার মানসিকতাকে নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে প্রচুর।
এবার আসল কথায় আসি। এত কমেন্টের মাঝেই খুঁজে পাওয়া গেছে ওই মহিলার আসল বৌমাকে। তিনি নিজে বলেছেন ওই মহিলা আসলে তাঁর শাশুড়ি এবং তিনি বাস্তবে খুবই ভালো মা। তাঁর অভিযোগ দিদি নাম্বার ওয়ান এখন TRP- র জন্য এই সব নোংরা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বাধ্য করাচ্ছে। এমনকি তিনি এও বলেন যে দিদি নাম্বার ওয়ানে খেলানোর জন্য ডেকে ওদের পছন্দ মতো টপিকে ওদের পছন্দ মতো কথা বলতে বাধ্য করাচ্ছে।
এমনকি কোনো টপিক মিস হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষের লোকেরা শ্যুট বন্ধ করে ওই টপিক গুলো আবার বলা করাচ্ছে। তাই এই নিয়ে এবার পাল্টা প্রশ্ন শুরু করেছে দর্শকরা যে জি বাংলা কেন এতটা নিচু মানসিকতার পরিচয় দিল শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য? এতেই বোঝা যাচ্ছে শুধুমাত্র টিআরপির জন্য দিদি নং ওয়ান কী কী করছে।অনেকে তো রচনা ব্যানার্জীর উপর ভীষণ রেগে গেছেন কারণ তিনি নিজে ডিভোর্সি তাই বলে আর একজন বৌমা শাশুড়ির সংসার ভাঙছেন কেন? এরকমও বলছেন অনেকে।