জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অভাব অনটন নিত্য সঙ্গী তবু কন্ঠ থেকে ঝরে পড়ছে মধু! সারেগামাপা জায়গা দিলো লড়াই করে উঠে আসার! প্রতিযোগীর কন্ঠ শুনে প্রশংসার ঝড়

জি বাংলায় বহু বছর ধরে চলে আসা একটি অন্যতম রিয়ালিটি শো হল সারেগামাপা। বহু পরিচিত মুখ যারা এই মুহূর্তে বাংলা বা হিন্দি সংগীত জগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই এই মঞ্চের মাধ্যমে জায়গা করে নিতে পেরেছে নিজেদের জন্য। তাই নতুন প্রতিভাদের তুলে আনতে এই প্রতিযোগিতার জুড়ি মেলা ভার।

এবার আবার নতুন করে শুরু হয়েছে সারেগামাপা। সঞ্চালনায় গতবারের মতোই এবারও দেখা যাচ্ছে অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে মঞ্চে অলংকৃত করছেন একাধিক বিচারক।

তবে এই মঞ্চ শুধু গান নয় বহু মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগায় জীবনযুদ্ধে। বহু প্রতিযোগীর কন্ঠে শোনা যায় তাদের জীবনের নানা সংগ্রামের এবং নানা মুহূর্তের কাহিনী যা দর্শক বা শ্রোতা বন্ধুদের কাছে উৎসাহ হয়ে উঠতে পারে। তেমনই এক সুমধুর কণ্ঠ রুপে আত্মপ্রকাশ করেছে এক প্রতিযোগী যার নাম দীপ চট্টোপাধ্যায়।

মেজিয়ার অতি সাধারণ বৈষ্ণব পরিবারের ছেলে দীপ ছোটবেলা থেকেই গান শুনে বড় হয়েছে। তার মা নিজেও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী যিনি গান শিখিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন। পাশাপাশি পদাবলী কীর্তনও চর্চা করেন তৃপ্তি দেবী।

ছোটবেলায় মায়ের কাছে প্রথম প্রথাগত গানের তালিম নেয় দীপ। অন্যদিকে বাবার ক্যাসেটের দোকানের গান শুনে শুনে ভালোবাসা জন্মায় গানের প্রতি। বাউল গানের প্রতি বেশি ঝোঁক তার। ‘সারেগামাপা’ মঞ্চে ‘নিতাই চাঁদের দরবারে’ গানটি গেয়ে সকলের মন জয় করে ফেলেছে সে। তিন বিচারক রিচা শর্মা, শান্তনু মৈত্র ও শ্রীকান্ত আচার্য প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

তবে তার থেকেও বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তার জীবন সংগ্রামের কাহিনী। অশ্রুসিক্ত গলায় নিজের জীবনের লড়াইয়ের গল্প বলেছে সে। সেই মঞ্চে হাজির ছিলেন দীপের মা নিজেও। ছেলে যে এই মঞ্চে গান গাইতে পেরেছে তাতে তিনি যতটা গর্বিত তার থেকেও বেশি খুশি কারণ তিনি মনে করেন তাঁর একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Piya Chanda