শিল্পীদের জীবনে পরিবারের পাশে থাকা যেন এক অদৃশ্য শক্তি। গান, অভিনয় বা মঞ্চে পারফরম্যান্স—সব ক্ষেত্রেই কাছের মানুষের মানসিক ও বাস্তব সাপোর্ট শিল্পীর পথচলাকে আরও সহজ করে তোলে। বিশেষ করে যখন রাত-বিরেতে শো, রিহার্সাল বা ইন্টারভিউ থাকে, তখন পরিবারের সহযোগিতাই শিল্পীর কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া। তাই প্রথম সারির অনেক শিল্পীই মানেন—পরিবার পাশে থাকলে সাফল্যের রাস্তা আরও মসৃণ।
বাংলার সংগীত জগতে পৌষালী ব্যানার্জির নাম এখন আলাদা পরিচিতি পেয়েছে। তার গান, মঞ্চে তার উপস্থিতি, দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ—সব মিলিয়ে আজ তিনি বহু মানুষের প্রিয়। শহর থেকে গ্রাম, সব জায়গাতেই তার লাইভ শো চলাকালীন ভিড় চোখে পড়ার মতো। দর্শকদের মন তিনি যত সহজে জয় করেন, ততটাই সহজভাবে নিজের শিল্পচর্চাকেও এগিয়ে নিয়ে যান।
জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গেই বেড়েছে তার ব্যস্ততা। কখন কোথায় শো, কোথায় রিহার্সাল, কোথায় স্টুডিও রেকর্ডিং—সব মিলিয়ে তার দিনের বেশিরভাগ সময়টাই ছুটোছুটি করতে হয়। এর মধ্যে থাকে বিভিন্ন ইন্টারভিউ, মিডিয়া ইন্টারঅ্যাকশন, এমনকি হঠাৎ করে নতুন কোনও কমিটমেন্টও এসে পড়ে। ফলে তার সময়সূচি এমনই শক্ত যে তিনি একার হাতে সামলে উঠতে পারেন না।
এত ব্যস্ততার মধ্যেও কীভাবে সব সামলে নেন তিনি? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পৌষালী জানিয়েছেন, তার ‘সবচেয়ে বড় সাপোর্ট সিস্টেম’ তার স্বামী। তিনি শুধু সাপোর্টই দেন না, বরং পৌষালীর পুরো টিমের একজন হয়ে কাজ করেন। কখন কোন শো, কখন বাড়িতে ইন্টারভিউ—সব কিছু তিনিই ম্যানেজ করেন।
আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে স্মৃতির হাতছানি, প্র’য়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কাজের মধুর স্মৃতি ভাগ করলেন লিলি চক্রবর্তী! পর্দার আড়ালের অদেখা মানুষটিকে স্মরণ করে আবেগে ভাসলেন টলিউড কিংবদন্তি! কেমন মানুষ ছিলেন ধর্মেন্দ্র?
তার ভাষায়—“বরই আমার ম্যানেজার, তাই সংসারে শান্তি বজায় থাকে।” তিনি আরও জানান, ইন্টারভিউ নিতে কেউ এলে কী খাবেন তাও তার স্বামী ঠিক করে দেন। কাজের ব্যস্ততার মাঝে এমন একজন সঙ্গী থাকার কারণে তিনি মানসিকভাবে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। শিল্পী হিসেবে এগিয়ে যেতে তাই স্বামীর এই নিঃস্বার্থ সহযোগিতা তার জীবনে অমূল্য।
