স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’ (RajRajeshwari Rani Bhabani) ইতিমধ্যেই টিআরপি তালিকার শীর্ষে ঠাঁই করে নিয়েছে। শুরুতেই দর্শকের মন জিতে নেওয়ায় এই গল্প আর চরিত্র দুটোই নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে। এবার নতুন করে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা ‘সায়ক চক্রবর্তী’কে (Sayak Chakraborty)। সায়ককে আবার ঐতিহাসিক ভূমিকায় দেখের জন্য এখন অনুরাগীদের অপেক্ষা।
টেলিপাড়া সূত্রে খবর, সোমবার থেকে ধারাবাহিকে সায়ককে দেখা যাবে রাজা রাজবল্লভ সেনের চরিত্রে। এই চরিত্রটি নেগেটিভ ধারার, সেই সঙ্গে অভিনেতার পছন্দের তালিকায় থাকা চরিত্রও। সায়ক বললেন, এমন ধরনের কাজ করতে তিনি বরাবর আগ্রহী। কারণ শক্তিশালী প্রতিবন্ধকতা থাকলেই তবে গল্পের উত্তেজনা বেড়ে যায়। দর্শকরা কেমনভাবে তাঁর খলচরিত্রটিকে গ্রহণ করে, সেটাই গল্পের গতিপথে বড় চমক হতে চলেছে।
নতুন ধারাবাহিকে যোগদানের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে সায়ক জানালেন, শুটিং সেটে পা রাখতেই খানিকটা নস্টালজিক হয়ে উঠেছেন। কারণ এটি ইন্দ্রপুরী স্টুডিও, যেখানে একসময় তিনি ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’র শুটিং করতেন। সেই পুরনো স্মৃতি, স্টুডিওর নির্দিষ্ট কিছু সেটের আবেশ, সব মিলিয়ে এই জায়গার সঙ্গে তার গভীর সংযোগ রয়ে গেছে। সায়ক জানান, স্টুডিওর এক স্থায়ী সেট, যেটি ‘বামাক্ষ্যাপা’–র কাজের সময় তৈরি করা হয়েছিল, পরে নষ্ট করা হয়নি।
আর সেখানে ‘মা তারা’র বেদি আজও টিকে আছে। অভিনেতা এদিন জানালেন, ‘বামাক্ষ্যাপা’ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নাকি নির্মাতাদের স্বপ্নাদেশে ‘মা তারা’ বলেছিলেন, সেই স্থানেই তিনি পুজো পেতে চান। তারপর থেকে আজও ‘মা তারা’র বিশেষ স্থান রয়েছে ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে। শুধু তাই নয়, মা নাকি এখানে খুবই জাগ্রত। কেউ শুদ্ধ মনে কিছু চাইলে, মা তাদের ইচ্ছা পূরণ করেন। একটি ছোট কিন্তু গভীর আধ্যাত্মিক ঘটনা স্মরণ করলেন সায়ক।
নিজের ফ্ল্যাট কেনার সময় লোন-সংক্রান্ত ঝামেলায় বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। বহু চেষ্টা করেও সমাধান হচ্ছিল না, ভেঙে পড়ার উপক্রমও হয়েছিল। তখনই তিনি সেটে গিয়ে মায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন করে বলেছিলেন, “তুমি তো মা! তবে প্রমাণ দাও আমায়, আমার মায়ের মাথার ছাদটা করে দাও!” আর কিছুক্ষণে খারাপ খবর বদলে ভালো খবরের ফোন! সায়ক বলেন, “সেট ছেড়ে বেরোতে পারিনি, তার আগেই ফোনটা পাই।” সেই আর্থিক সমস্যার হঠাৎ সমাধান তাঁর জন্য জীবনে এক স্মরণীয় ঘটনা।
আরও পড়ুনঃ বহু প্রতীক্ষিত ‘ধূমকেতু’ মুক্তির আগেই হতাশ ‘দেশু’ অনুরাগীরা! ছবি মুক্তির কাউন্টডাউনে হঠাৎ ধাক্কা, ধূমকেতু নিয়ে নতুন চাপে নির্মাতারা! দেব জানালেন কী সেই খারাপ খবর?
তাই প্রতিবার কষ্ট-সময়ে তিনি সেই সেটে গিয়ে মা-তাকে স্মরণ করেন, ওখানকার আধ্যাত্মিক শক্তিকে নিজের হাতে-কলমে অনুভব করেন। তিনি আরও স্মরণ করলেন, ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ প্রজেক্টের সময় এখানেই বহুক্ষণ কাটিয়েছেন, সেটে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা তার জীবনে গভীর ছাপ ফেলেছে। সায়কের ভাষায়, ওই জায়গায় কাজ করা মানে যেন এক ধরনের আধ্যাত্মিক অনুপ্রেরণা পাওয়া। বিশেষ করে নিয়মিত মাকে, বা ‘মা তারা’-র পূজো পাঠ।