জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘এখন সারা বছর কেনাকাটা অনেক বেড়ে গেছে! সেই ছোটবেলার মতো দোকানে ঘুরে জিনিস কেনা, পুজোর সেই আমেজটা আর পাই না! পুজো নিয়ে অকপট শোলাঙ্কি

‘‘সেইসব দিনের স্মৃতি আজও আমার মনে অমলিন। এখন আর সেই রকম বাজার হয় না’’ – দুর্গাপুজোর কেনাকাটা নিয়ে কি বললেন শোলাঙ্কি রায়? অনলাইন নাকি অফলাইন কোনটা বেশি পছন্দ করেন অভিনেত্রী?

পুজোর সময় এখন শহরের বাজারগুলো ভিড়ের কারণে প্রায় টালমাটাল। দোকান ঘুরতে গিয়ে দেখলে বোঝা যায়, সবাই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত। সবার মতোই ব্যস্ত থাকেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়। প্রতিটি বাঙালির মতো শোলাঙ্কিও পুজোর সময়কে কেনাকাটা এবং পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তবে এবার পেশাগত ব্যস্ততা তাকে একটু আলাদা পরিস্থিতিতে নিয়ে এসেছে।

ছোটবেলায় শোলাঙ্কি বাবা-মায়ের সঙ্গে বাজার করতে যেতেন। একসঙ্গে হাতে পাওয়া খরচ নিয়ে পছন্দের জিনিস কিনে দিনের শেষে ‘আমিনিয়া’ বা ‘বাদশা’ -এ মায়ের সঙ্গে খাওয়াটা ছিল নিয়মিত। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘সেইসব দিনের স্মৃতি আজও আমার মনে অমলিন। এখন আর সেই রকম বাজার হয় না, সারা বছর কেনাকাটা অনেক বেড়ে গেছে।’’ এই কথায় বোঝা যায়, শোলাঙ্কির পুজোর আনন্দ শুধু কেনাকাটায় নয়, বরং সেই সময়ে পারিবারিক সঙ্গে কাটানো সময়ের কথাও তাঁর কাছে অমূল্য।

বর্তমান সময়ে শোলাঙ্কির পেশাগত ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। ধারাবাহিক শুটিং এবং নতুন ধারাবাহিকের প্রস্তুতির চাপের কারণে পুজোর কেনাকাটার জন্য সময় বের করা সহজ নয়। অভিনেত্রী জানালেন, ‘‘কিছু জামা কিনতে চেয়েছিলাম, মা কয়েকটা কিনে দিয়েছেন। বাকিটা হয়তো সময় বের করতে পারলে করা যাবে।’’ শোলাঙ্কি অনলাইনে কেনাকাটা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, কারণ তিনি পোশাকের সঠিক মাপ নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে। তাই তিনি দোকানে গিয়ে দেখে পছন্দমতো পোশাক কেনাকে বেশি গুরুত্ব দেন।

পুজোর দিনে শোলাঙ্কি মূলত শাড়ি পরার চেষ্টা করেন। কারণ কর্মসূত্রে দিনে অনেক সময় বাইরে থাকতে হয়, আর শাড়ি পরলে সেই সময়ে সুবিধা হয়। এবারও দুইটি নতুন শাড়ি রয়েছে তাঁর কাছে, যা দু’দিনের পুজোর জন্য যথেষ্ট। নিজের জন্য সময় না পেলেও পরিবারের জন্য নিজ হাতে কেনা জিনিস দেওয়া শোলাঙ্কির কাছে আনন্দের। শোলাঙ্কি বললেন, ‘‘যদি পুজোয় সময় না পাই, তখন ছোটদের হাতে টাকা দিয়ে দিই। আর তা না হলে কালীপুজোয় সেই পরিকল্পনা করি।’’

শোলাঙ্কির মতে, অনলাইনে কেনাকাটার সুবিধা থাকলেও নিজের হাতে কিছু কিনে দেওয়ার আনন্দ আলাদা। ‘‘বড়দের জন্য কিছু কিনে দেওয়ার চেষ্টা সব সময় করি। এটি যে আনন্দ দেয়, তা অনলাইনে কেনাকাটায় পাওয়া যায় না,’’। শোলাঙ্কির এই গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, পুজোর আসল আনন্দ যেন শুধুই কেনাকাটার মধ্যে নয়, বরং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, আরও অনেক আনন্দের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।

Piya Chanda