জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘প্রথম বিয়েতে স্লিভলেস পরা মানা ছিল ’— অতীত দাম্পত্যের ভা’ঙন নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সুদেষ্ণা রায়! বিয়ের সময় বয়স মাত্র কুড়ি, ‘মন ছিল ভীষণ চঞ্চল’— তবে কি নিজের চঞ্চলতাতেই ভেঙেছিল বৈবাহিক সম্পর্ক, নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে ছিল অন্য অজানা কারণ?

বিনোদন জগতের (Entertainment Industry) তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই দর্শকদের কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকে। ক্যামেরার সামনে তাঁদের রঙিন জীবন যতই ঝলমলে দেখাক না কেন, পর্দার আড়ালে প্রত্যেকের জীবনেই থাকে নানা টানাপোড়েন, মান-অভিমান আর সম্পর্কের ওঠাপড়া। অনেক তারকাই ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা খোলাখুলিভাবে শেয়ার করেন, যাতে অনুরাগীরাও তাঁদের বাস্তব জীবনের অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারেন। ঠিক সেই কারণেই তারকাদের পুরনো স্মৃতি, প্রেম, বিয়ে বা ডিভোর্স—সবই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে।

বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অত্যন্ত পরিচিত এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুদেষ্ণা রায় (Sudeshna Roy)। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত তিনি। বয়স বাড়লেও তাঁর কাজের প্রতি নিষ্ঠা আজও অটুট। সিনেমা, সিরিয়াল, থিয়েটার—সব ক্ষেত্রেই নিজের প্রতিভা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর জীবন অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামের কথা অনেকে জানলেও, কিছু পুরনো অধ্যায় আজও দর্শকদের কাছে অজানা রয়ে গেছে।

অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনের এমনই এক অধ্যায় হলো প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁর ডিভোর্স। সুদেষ্ণা জানান, তাঁদের বিচ্ছেদ হলেও কখনো ঝামেলা হয়নি, কারণ তাঁর স্বামী ছিলেন ভীষণ ম্যাচিওর একজন মানুষ। বিয়ের সময় বয়স ছিল মাত্র কুড়ি। সেই বয়সে মন ছিল খুবই চঞ্চল—অভিনেত্রী নিজেই এমনটা স্বীকার করেছেন। তাই সংসারে মানিয়ে চলার ক্ষেত্রে তিনি অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারতেন না।

সুদেষ্ণার কথায়, বিয়ের পরেও শ্বশুরবাড়ির সাপোর্ট ছিল ভরপুর। স্লিভলেস পোশাক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা—সবকিছুতেই তাঁকে অনুমতি দেওয়া হত। এমনকি তিনি মাস্টার্সও করছিলেন সেই সময়। পাশাপাশি থিয়েটারও করেছিলেন, তবে সেই অংশ তিনি কাউকে জানাতে পারেননি। কারণ সব বলতে তাঁর অস্বস্তি হতো। তিনি জানান, এটা ছিল সম্পূর্ণ তাঁর নিজের ভুল এবং সেই বয়সে সব বোঝার ক্ষমতা ছিল কম।

শেষ পর্যন্ত অনেক ভেবে দুজনেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিয়েও কোনও ঝগড়া বা তিক্ততা তৈরি হয়নি। সুদেষ্ণা জানান, দু’জনেই অত্যন্ত ম্যাচিওরভাবে বিষয়টি সামলেছেন। তাই আজও এই অধ্যায়কে তিনি ভুল নয়, বরং জীবনের একটি শিক্ষা হিসেবেই দেখেন।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page