জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতে হলে সেই উল্টো দিকের মানুষটার সঙ্গে প্রেম করতে হবে!” ঋত্বিকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অকপট অন্বেষা

আনন্দী’ (Anandi) বর্তমানে নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক গাল হাসি সঙ্গে তাঁর অদ্ভুত কীর্তিকলাপ। পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে মানিয়ে নিয়ে হাসিমুখে নিজের দুঃখকে এক তুরিতে ভুলিয়ে সমস্যার সমাধান করে যে জীবনে সুন্দরভাবে চলতে পারে তারই আদর্শ উদাহরণ এই আনন্দী। জি বাংলায় (Zee Bangla) ‘আনন্দী’ নামের এই সিরিয়াল গোড়ার দিক থেকেই মন কেড়েছে দর্শকদের। এক কথায় বলা যেতে পারে, এই সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্র আনন্দীকে দেখলেই অনেক দর্শকদের মনের দুঃখ নিরাময় হয়।

এই সিরিয়ালের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখতে পাওয়া যায় ঋত্বিক মুখার্জি এবং অন্বেষা হাজরাকে। এই জুটিকে এর আগেও দেখতে পাওয়া গেছে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ সিরিয়ালে। এই জুটি অনস্ক্রিনে একে অপরের বিপরীতে থাকলেও অফ স্ক্রীনে তাদের থাকে ভাই ভাই সম্পর্ক। সম্প্রতিকালে, এই জুটির দেওয়া ইন্টারভিউ সমাজ মাধ্যমে চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাক্ষাৎকারের শুরুতেই এই জুটি বলে ওঠে, তাদের মধ্যে এমন কোনো বিষয় নিয়ে যা নিয়ে তারা আলোচনা করে না।

আনন্দী, Anondi, zee Bangla, জি বাংলা সিরিয়াল

সাক্ষাৎকারে হিট জুটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলে, “আমাদের কাছে ভীষণই বোকা বোকা একটা ব্যাপার যে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতে হলে সেই উল্টো দিকের মানুষটার সঙ্গে প্রেম করতে হবে”। অভিনেত্রী আরও জানান, “তাহলে কি গুলি খাওয়ার চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে গুলি খাবো?” খানিক রাগের সুরেই এই প্রশ্ন যেন ছুড়ে দিলেন অভিনেত্রী সমালোচকদের মুখে। বলেন, “আমাকে কি তাহলে ঋত্বিকদার কোলে ঝোলাঝুলি করতে হবে, তবে গিয়ে আমি সিন গুলো করতে পারব?” একের পর এক প্রশ্নবান আসতে থাকে অভিনেত্রী তরফ থেকে। যদিও এটা ছিল নিছকই এক আলোচনা।

সিরিয়ালের দৃশ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, সমস্যা আসছে কিন্তু তার একটা একটা করে সমাধান করতে করতে যাচ্ছে আনন্দী, গল্পে আসছে অনেক নতুন মোর। এরই সঙ্গে অভিনেতা জানান দিলেন, আসছে তাক লাগানো নতুন প্রোমো। আনন্দী তাঁর ম্যাজিক দেখাচ্ছে কাজের মধ্য দিয়ে। এই ছুটি কি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ডিপ্রেশন নিয়ে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য প্রকাশ করে। অন্বেষা এবং ঋত্বিকের কথায়, ডিপ্রেশনকে একেবারেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়। কথা বলেই সমস্যার সমাধান করে নিলে ডিপ্রেশন এর কোন জায়গায়ই থাকে না।

এই পুরো ইন্টারভিউ জুড়ে দেখা গেল তাদের মধ্যে রয়েছে নিখাদ এক বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বাইরে চলতে থাকা নানান সমালোচনা তাদের মধ্যে কোন প্রভাব পড়তে দেয় না। বর্তমানে আনন্দী সিরিয়াল দর্শকদের খুব পছন্দ হওয়ায় টিআরপির দৌড়ে ভালো স্থান দখল করে রয়েছে। অবশ্য এই রেটিং নিয়ে সিরিয়ালের কলাকুশলীরা খুব একটা চিন্তিতও নয়, তারা শুধু চায় ভালোভাবে মন দিয়ে কাজ করতে।

Tolly Tales