জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘আমাদের দুজনের চরিত্রেই দোষ আছে তাই আমরা এক হয়েছি!’ ‘আমাকে ছাড়া থাকতে পারছিল না, তাই বিয়ে করে নিয়েছি’, অভিষেককে নিয়ে গর্বিত শার্লি

ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ ‘অভিষেক বোস’ (Abhishek Bose) এবার চুপিচুপি আইনি বিয়ে করে সবাইকে চমকে দিলেন। ‘ফুলকি’ (Phulki) ধারাবাহিকের সেট থেকে জন্ম নেওয়া এই প্রেম পরিণতি পেল একপ্রকার গোপনেই। পাত্রী ‘শার্লি মোদক’ (Sharly Modak) , যাঁর সঙ্গে সম্পর্কের শুরু হয়েছিল বন্ধুত্ব দিয়ে। অতীতে একাধিক প্রেমের ধাক্কা খাওয়া অভিষেক শেষমেশ খুঁজে পেলেন স্থায়ী সম্পর্কের আশা। বিয়ের পর প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে দুই তারকাই ভাগ করে নেন তাঁদের ভালোবাসার গল্প ও অতীতের আঘাত।

অভিষেক জানান, একাধিক সম্পর্ক তাঁকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল। এমনকি এমন কথাও শুনতে হয়েছে, “এত খারাপ যে মরে যাওয়া উচিত।” প্রাক্তনদের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তাঁর বন্ধুদেরই নাকি তাঁকে বিপক্ষে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে শার্লির সঙ্গে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক নতুন নির্ভরতা। অন্যদিকে শার্লিও জানান, অতীতের একতরফা সম্পর্কের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি শিখেছেন, যেখানে ভালবাসার নাম করে চলে মানসিক দাসত্ব, সেটা কোনও সম্পর্কই নয়।

তবে সবচেয়ে আলোচ্য অংশ যেটা উঠে আসে তাঁদের দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে। সেখানে অভিষেক বলেন, “সম্পর্কে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগেও জানতাম না, আমরা একে অপরকে জন্য ঠিক কী অনুভব করি। একদিন রাতে নিজেকে শার্লি খারাপ ভাবে আহত করে ফেলে আর ওর ফোন আসতেই আমি ছুটে যাই ওর কাছে। সেখানেই ওকে বলি সম্পর্কে যাওয়ার কথা। শার্লি প্রথমে রাজি হয়নি কারণ অতীতটাকে ও তখনও ভুলতে পারেনি, কিন্তু পরে রাজি হয় আমি অনেক জোর করতে।”

কিন্তু এই আবেগঘন মুহূর্ত প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে নতুন ট্রোলিং পর্ব। নেটপাড়ার অনেকেই অভিষেকের এই বয়ানে খুঁজে পেয়েছেন পুরোনো কৌশলের পুনরাবৃত্তি। কেউ লিখেছেন, “সায়ন্ত মোদক আর অভিষেক বোসের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই! মেয়েদের কিভাবে ফাঁসাতে হয় ভালোই জানেন এরা” আবার কেউ বলেন, “বছর বছর এরকম ঘটনা শুনায় নতুন নতুন মেয়েদের সাথে, পরের বছর কি হয় কে জানে!” এমনকি কেউ বলেছেন, “এই বিয়ের মেয়াদ ৬ মাস, এরপর আবার সাক্ষাৎকারে কাঁদবে।”

কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি অনেকে, “এই সম্পর্কের মেয়াদ বেশিদিন নয়, খুব তাড়াতাড়ি ডিভোর্স দিয়ে সাক্ষাৎকারে এসে একে অন্যকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করবে।” তবে ট্রোল আর কটাক্ষের ঊর্ধ্বে উঠে অভিষেক-শার্লি তাঁদের সম্পর্কের ভিত গড়েছেন বোঝাপড়া আর সম্মান দিয়ে। প্রেম না থাকলেও, পাশে থাকা আর একে অপরকে গ্রহণ করার মানসিকতা তাদের সম্পর্ককে গড়ে তুলেছে। এখন দেখার, এই সম্পর্ক সত্যিই দীর্ঘস্থায়ী হয় কিনা, নাকি ট্রোলারদের ভবিষ্যদ্বাণীই সত্যি হয়!

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page