টলিপাড়ায় তিনি বনি সেনগুপ্ত(Bonny Sengupta) নামে জনপ্রিয় হলেও তাঁর আসল নাম অনুপ্রিয় সেনগুপ্ত। বাবা অনুপ সেনগুপ্ত এবং মা পিয়া সেনগুপ্তের নাম মিলিয়ে বনির নাম রাখা হয়েছিল অনুপ্রিয়। যদিও অভিনেতা পরিচিত হয়েছেন বনি নামে। বর্তমানে ভীষণভাবে চর্চায় রয়েছেন এই অভিনেতা। শিক্ষা দুর্নীতিতে জড়িত হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের(Kuntal Ghosh) কাছ থেকে চল্লিশ লক্ষ টাকা দামী বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এখন ইডির নজরে পড়েছেন এই অভিনেতা।
কি এমন কাজ করলেন যার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেলেন? সেটা জানতেই এখন তৎপর ইডি। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে বনি সেনগুপ্ত ঠিক কতটা বড় মাপের অভিনেতা যে তিনি ৪০ লক্ষ টাকা দামি গাড়ি নিজের পারিশ্রমিক হিসেবে নেন? প্রশ্ন ওঠে একটি বাংলা সিনেমার বাজেটের কাছাকাছি টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছেন বনি। আর এবার এই বিতর্কেই মুখ খোলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত।
বিস্তর কনফিডেন্সের সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “আমি টলিউডের ওয়ান অফ দি লিডিং মোস্ট হিরো তো। আমি সেটা মেনে নিতে পারি। এই পারিশ্রমিকটা আমি আর্ন করেছি। অনেক বছর খেটে আর্ন করেছি।” অর্থাৎ প্রসেনজিৎ, দেব, জিৎ, অঙ্কুশ এঁদের সঙ্গে তিনি নিজেকে সমগোত্রীয় বলে মনে করছেন।
আর ব্যাস এই মন্তব্য করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল কটাক্ষের সম্মুখীন হন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। বারংবার ইডির কড়া জেরার মুখেও যে বনির কনফিডেন্স এতটুকু টাল খাইনি তা দেখে অবাক সবাই। যদিও এই ঘটনার দুদিনের মধ্যেই কুন্তলের অ্যাকাউন্টে ৪০ লাখ টাকা পাঠিয়ে ইডির হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার চেষ্টা করেন বনি। শিক্ষার দুর্নীতিতে নাম জড়ানো প্রথম অভিনেতা তিনি।
আর জানেন শিক্ষা দুর্নীতিতে নাম জড়ানো এই অভিনেতার গালেই এবার এক ঘন্টার থেকেও কম সময়ের মধ্যে ৭-৮ টা সপাটে চড় কষালেন অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। কিন্তু কেন? আসলে বনির বাবা অনুপ সেনগুপ্ত পরিচালিত সিনেমা ‘জানবাজ’-এর একটি দৃশ্যের খাতিরে বনির গালে সপাটে চড় কষাতে হয়েছিল অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্রকে। যদিও বনি পেশাদার অভিনেতার মতোই শট কমপ্লিট করেন। নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছিলেন খোদ অভিনেত্রী কাঞ্চনা।