বাংলা সিনেমার অন্যতম আইকনিক চরিত্র হলেন অভিনেত্রী অনামিকা সাহা। একটা কথা নিঃসন্দেহে বলাই যায় যে, বাংলা সিনেমাকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। অসামান্য এই অভিনেত্রীকে বাংলা অবশ্য চেনে শুধুই খলনায়িকা হিসেবে। বলাই বাহুল্য, একটা সময় পর্যন্ত অবশ্য বাংলা সিনেমায় এই অভিনেত্রীকে ছাড়া খল নায়িকা হিসেবে আর কাউকেই ভাবা যেতনা।
অনামিকা সাহা বাংলা সিনেমার ভীষণ দাপুটে এক অভিনেত্রী। এই অভিনেত্রীর আসল নাম অবশ্য ছিল ঊষা। পরিবার প্রদত্ত নাম। তবে ইন্ডাস্টিতে আসার শুরুতেই এই অভিনেত্রী নিজের নাম বদলে হয়ে যান অনামিকা সাহা। স্পষ্ট কথা বলতে একেবারেই কষ্ট নেই এই অভিনেত্রীর। অপরাজিতা আঢ্য থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সবাইকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন:জি বাংলার নতুন ধারাবাহিকে ফিরছে বিরাট জনপ্রিয় নায়িকা! কে তিনি? জেনে নিন
তবে ব্যক্তিগত জীবনেও কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি এই অভিনেত্রীকে। একবার অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, নিজের শ্বশুরবাড়িতে পর্যন্ত মেয়েকে নিয়ে কটাক্ষ হজম করতে হয়েছিল তাকে। অনামিকা সাহা আর বোধিসত্ত্ব মজুমদারের এক মাত্র সন্তান রাই। অভিনেত্রীকে তার শ্বশুরবাড়িতে কটাক্ষ করে বলা হত মেয়েও নাকি মায়ের মতো নেচে বেড়াবে!
তবে না, মা-বাবার পেশায় আসেনি মেয়ে। মনস্তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। এমনকী অভিনেত্রীর মেয়ের লেখা গবেষণা পত্র বই আকারে ছেপে বেরিয়েছে। আর সেই বই পড়ানো হয় গোটা বিশ্বে। অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমাকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে শ্বশুরবাড়ি থেকে। আমি এবং আমার স্বামী দু’জনেই অভিনেতা। আর সেই কারণেই নাকি আমার মেয়েরও নাকি লেখাপড়া হবে না।”
অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, “ছোট থেকেই তাই মেয়েকে বারবার করে বলেছিলাম, চিনি মন দিয়ে পড়াশোনা কর। এটা লেখাপড়ার বাড়ি। তোকেও সেটাই করতে হবে। আমার মেয়ে কিন্তু আমার কথা রেখেছে।’’ বর্তমানে দিল্লির দু’টি কলেজে অধ্যাপনা করেন অভিনেত্রীর মেয়ে।