জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“সন্তানের উপর অধিকার চাই বলেই মা হয়েছি!” “মেয়েকে দিয়ে ভ্লগিং করাচ্ছি, তাই বলছে শিশুশ্রম!”— সন্তানকে ঘিরেই এখন তাঁর পৃথিবী, নেটিজেনদের কটাক্ষে এবার মুখ খুললেন লাবণী ভট্টাচার্য!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মোহর’-এর ঊর্মি কিংবা ‘জয় বাবা লোকনাথ’ ধারাবাহিকের হেমনলিনী— এই চরিত্রগুলোর নেপথ্যে থাকা অভিনেত্রী ‘লাবণী ভট্টাচার্য’ (Laboni Bhattacharjee) বর্তমানে অভিনয়জগৎ থেকে খানিকটা দূরে। তবে আলাদা কোনও দুঃখ নেই তাঁর। কারণ এখন তাঁর সমস্ত সময় জুড়েই রয়েছে ছোট্ট কন্যাসন্তান ‘অশ্লেষা’ (Ashleishaa) । সদ্যই মা হয়েছেন তিনি, আর ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই বেবি বাম্পের ছবি দিয়ে সুখবর ভাগ করে নিয়েছিলেন।

সেই সময়েই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, নতুন জীবনের অপেক্ষায় কতখানি উচ্ছ্বসিত তিনি। করোনার সময়ে বিয়ে করেন লাবণী ও অমরজ্যোতি সরকার। চার বছরের দাম্পত্যে এবার নতুন সদস্যের আগমন। জানা গিয়েছে, লাবণীর স্বামী অমরজ্যোতি একজন প্রশাসনিক আধিকারিক— তিনি বিডিও পদে কর্মরত। অভিনয়জগতে বরাবরই সক্রিয় লাবণী কাজ করেছেন ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’, ‘কে আপন কে পর’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘আমি সিরাজের বেগম’ সহ একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে।

এমনকি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও ‘বউ কেন সাইকো’র মতো ওয়েব সিরিজে নজর কেড়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তাঁকে ক্যামেরার সামনে দেখা না গেলেও, সমাজ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় লাবণী। মেয়ের নানা মুহূর্ত ভাগ করে নিতে ভালোবাসেন তিনি। ছোট ছোট ভিডিও বা ভ্লগে মেয়ের খুশির মুহূর্তগুলো তুলে ধরেন অভিনেত্রী। আর সেইসব ভ্লগে অনেকেই যেমন প্রশংসা করেন, তেমনই একটা বড় অংশের নেটিজেন আবার তির্যক মন্তব্য করতেও ছাড়েন না।

কেউ কেউ মন্তব্য করেন— অভিনেত্রী যেন নিজের মেয়েকে দিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট বানিয়ে চলেছেন, যেন টাকার জন্য তাকে শিশুশ্রমে বাধ্য করছেন। এইসব কটাক্ষ এবার আর চুপচাপ সহ্য করলেন না অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলে সোজা ভাষায় জানালেন নিজের অবস্থান। লাবণীর কথায়, কাজ না পাওয়ার জন্য তিনি সন্তান নেননি, বরং ইচ্ছা করেই কাজ থেকে সরে এসেছেন। সন্তান চেয়েছিলেন নিজস্ব ভালোবাসার জায়গা থেকেই।

কারণ, সন্তানের উপরে যেন তাঁর একচেটিয়া অধিকার থাকে— এমনটাই চেয়েছিলেন তিনি। কারও কাছে কৈফিয়ৎ না দিয়ে নিজের ছেলেমেয়েকে নিয়ে যা খুশি তা-ই করার স্বাধীনতা চেয়েছিলেন এই মা। তবে সমালোচনা এখানেই যেন বেড়ে গেল! অভিনেত্রী বলেন, এমনও শুনতে হয়েছে যে আগে মা-বাবারা সন্তানদের দোকানে বসাতেন, আর এখন কেউ কেউ সন্তানকে দিয়ে ভ্লগ করিয়ে টাকা উপার্জনের চেষ্টা করেন।

এই তুলনা কেবল কুরুচিকরই নয়, বরং এক জনমদণ্ড যা একজন মায়ের মাতৃত্ববোধকেও আঘাত করে। লাবণীর যুক্তি, তাঁর সন্তানের ভালোবাসার মুহূর্তগুলো ভাগ করাটা কখনওই এক প্রকার ‘শ্রম’ নয়। বরং এটি একরাশ আনন্দের বিস্তার, যা তিনি ও তাঁর পরিবার ভাগ করে নিতে চান সকলের সঙ্গে। তিনি নিজে এই পরিকল্পনা নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী এবং ভবিষ্যতেও একইভাবে চালিয়ে যেতে চান।

Piya Chanda