জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

আরো এক বাবাকে হারালাম, দুষ্টুমি করলে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন! প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদারের স্মৃতিতে চোখে জল বালিকা বধূ মৌসুমী চ্যাটার্জীর

তরুণ মজুমদারের হাত ধরে চিনেছিলেন টলিউডকে। ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশনের সঙ্গে প্রথম আলাপ অভিনেত্রী মৌসুমী চ্যাটার্জীর। ১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদারের হাত ধরেই বাংলা সিনেমা পেয়েছিল এক নতুন নায়িকাকে।

সেই তরুণ মজুমদার আর নেই। সোমবার সকাল ১১.১৭ মিনিটে প্রয়াত হলেন ৯২ বছরের এই বাঙালি পরিচালক। গত ১৪ জুন থেকে কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। দীর্ঘ দু-দশক ধরে কিডনির সমস্যা ছিল। রবিবার ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন তরুণ মজুমদার।

প্রয়াত পরিচালকের স্মৃতিতে আবেগে ভাসলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চ্যাটার্জী। এক সময়ের মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানালেন আরো এক বাবাকে হারালেন। আসলে তরুণ মজুমদার এই নায়িকার জীবনের প্রথম পরিচালক। আর যে সময় যখন নায়িকা অভিনয় জগতে প্রবেশ করলেন তখন বয়স খুবই কম তাঁর।

শুরুর দিনগুলোর কথা কোনওদিন ভুলতে পারবেন না মৌসুমী। নায়িকা জানালেন তাঁর জীবনে তিনজন বাবা রয়েছেন। এক তাঁর, নিজের বাবা এক তাঁর শ্বশুর এবং আরেকজন হলেন প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। তিনিই তো ক্যামেরার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রীকে।

প্রথমদিকে স্মৃতিতে ফিরে গিয়ে গলা বুজে আসছিল নায়িকার। ‘বালিকা বধূ’র সেটে নায়িকা ভীষণ দুষ্টুমি করতেন। আর তাই শাস্তি হিসেবে কান ধরে থাকতে হতো তাঁকে। এই শাস্তি দিতেন আর কেউ নয় স্বয়ং পরিচালক।

শেষ কবে তৃতীয় বাবার সঙ্গে দেখা হয়েছিল অভিনেত্রীর? নায়িকা জানালেন তিন বছর আগে কলকাতায় এসেছিলেন মৌসুমী। তখন সন্ধ্যাদির সঙ্গে দেখা করেছেন কিন্তু তরুণ মজুমদারের সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর।

বড় মেয়ে চলে যাওয়ার পর স্বামীকে রেখে কলকাতায় আর আসতে পারেন না নায়িকা। তবে সব সময় স্মৃতিতে থেকে যাবেন তরুণ মজুমদার, জানালেন “বালিকা বধূ” মৌসুমী চ্যাটার্জী নিজেই।

Titli Bhattacharya

                 

You cannot copy content of this page