বিগত এক সপ্তাহ ধরেই আমরা খবরে চোখ রেখেছিলাম এবং জানতে পেরেছিলাম যে টলিউডের বিখ্যাত এবং কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার চূড়ান্ত অসুস্থ এবং তাকে তড়িঘড়ি ভর্তি করতে হয়েছে এসএসকেএম এর উডবার্ন ওয়ার্ডে। তবে গতকাল সকাল থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে হঠাৎ করে।
ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছিল বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদারকে। রবিবার সকালে আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। ডায়ালিসিসও করতে হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর এমনটাই।একটু আগে জানা গেল আজ সকাল ১১:১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বর্ষীয়ান পরিচালক। তাঁর মৃত্যুতে অনাথ হয়ে গেল টলিপাড়া।
শরীরে ছিল একাধিক সংক্রমণ। নতুন করে দেখা দিয়েছিল বুকের সংক্রমণ। হৃদ্রোগের সমস্যা ছিলই। বৃক্কেও সংক্রমণ ছিল। রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই নীচে। গত কয়েক দিন ‘সিসিউ’-তে ছিলেন। রবিবার সকালে ভেন্টিলেশনের সাহায্য নিতে হয়।
আচমকা তার অবস্থার অবনতির কথা শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যবাসী এবং সকলেই তার সুস্থতা কামনা করছেন। একটা সময় একের পর এক দাদার কীর্তি পথভোলা আলো শ্রীমান পৃথ্বীরাজ গণদেবতার মত হিট সিনেমা আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন তরুণ মজুমদার। তাকে এই অবস্থায় দেখতে কেউই চাইছিলেন না, তিনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো এটাই চাইছিলেন সকলে।
হঠাৎই রবিবার সকালে অসুস্থতা বাড়তে থাকে। দেওয়া হয় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩।
তিন দিন আগেই পরিচালকের শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এম আর আই করা হয়েছিল। যে রিপোর্ট ছিল স্বাভাবিক। কয়েক দিন ‘সিসিইউ’-তে রেখে ‘উডবার্ন’ ওয়ার্ডে স্থানান্তরের চিন্তাও করেছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু আজ সকালে সকল লড়াই ব্যর্থ করে পরলোকগমন করেছেন পরিচালক।