বাংলা টেলিভিশনের এমন অনেক ধারাবাহিক রয়েছে সেগুলো বহুদিন হলো শেষ হয়ে গেছে তবু মানুষের মনে রয়ে গেছে। সম্প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথেই মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল এই ধারাবাহিকগুলো। তারই মধ্যে একটি ধারাবাহিক জি বাংলার ‘স্ত্রী’।
২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই ধারাবাহিকটি টিভির পর্দায় সম্প্রচারিত হয়েছিল। ধারাবাহিকটির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিল অভিনেত্রী আমনদীপ সোনকার ওরফে নেহা আমনদীপ এবং অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত অভিনেত্রী আমনদীপ যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন সেটির নাম ‘নিরুপমা’। চরিত্রটিতে এত সুন্দর নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি যে দর্শকের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিল। বাংলাতে অভিনয় করলেও এই অভিনেত্রী আদতে একজন বাঙালি নন।
তবে ‘স্ত্রী’ ধারাবাহিকটি পর তাকে সানবাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কনে বউ’তে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। যে ধারাবাহিকে ছিলেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডুও। তবে এই ধারাবাহিকটির পর থেকে তাকে আর টিভির পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটিভ দেখা যেত না আমনদ্বীপকে। সম্প্রতি প্রায় দু বছর পরে আবার তাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাক্টিভ হতে এবং টিভির পর্দায় দেখা গেলো।
সম্প্রতি নেহা তোর মায়ের সঙ্গে দিদি নাম্বার ওয়ানে প্রতিযোগী হয়ে এসেছিলেন সেখানেই নেহা বলেন, ‘ছোটছিলাম আমি। কিছু কথা শুনে আমি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিলাম। কেন ছাড়লাম সেটা নিজেও ঠিকভাবে ব্যাখা করতে পারব না। আমার মনে হত আমার মাথার মধ্যে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি কথা বলছে। সে বলত, তুমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ। তোমাকে বিচ্ছিরি দেখতে, তোমাকে কেউ আপন করে নেবে না। তোমার মরে যাওয়া উচিত… আমার এই সব মনে হত’।
তিনি আরো বলেন ‘আমি ভয় পেতাম লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে। আমি রুমের বাইরে বার হতে পারতাম না। কাজের ব্যাপারে কেউ ফোন করলে ফোন ধরতাম না… ডিপ্রেশন শব্দটা সেই বুঝতে পারে যে সেটার মধ্যে দিয়ে যায়। মানে তুমি নিঃশ্বাস নিচ্ছো, কিন্তু তুমি বেঁচে নেই’।
অভিনেত্রী বলেন যে পুজোর সময় তার মা তাকে একটি প্যান্ডেলে নিয়ে গিয়েছিল এবং সেখান থেকেই তার জীবনে অনেক পজিটিভিটি আসে। অভিনেত্রী বলেন- ‘ঠাকুরই আমাকে বাঁচিয়েছে, হয়ত উনি চান না আমি মরে যাই’।
রচনা নেহাকে বলেন ‘তুমি নিজের জীবনে কিন্তু উইনার। তোমাকে ভাবতে হবে আমার জীবনে যে পার্টটা পেরিয়ে এসেছো সেটা আর কেউ পারেনি, তাই তোমাকে ভাবতে হবে ‘আই অ্যাম দ্য বেস্ট’। নিজের জন্য বাঁচো, অন্যের জন্য না। কোনও তৃতীয় পুরুষ, চতুর্থ পুরুষ যেন তোমার জীবনকে চালিত না করতে পারে’।
তবে এত গল্প করার পরেও এদিন খেলতে গিয়ে হাতে ও পায়ে চোট পান নেহা। আর সেই জন্য খেলার মাঝপথ থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তবে এতদিন পর তাকে ছোট পর্দায় দেখে তার অনুরাগীরা খুশি।