তিনি বাংলা সিনেমার গর্ব। বাংলা সিনেমার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে তাঁর নাম থাকবে ওপরের দিকে। বাংলা সিনে দুনিয়ায় তাঁর অপরিহার্য অবদান। বিগত ৩০ বছর যাবত বাংলা সিনেমার পর্দায় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। যেকোনও চরিত্রেই নিজের অসামান্য অভিনয় প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটান বাংলা সিনেমার এই সুদক্ষ অভিনেত্রী। সাহসী চরিত্রে অভিনয় করতেও পিছুপা হননা তিনি।
বাংলা সিনেমায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত একটি প্রতিষ্ঠানের নাম। যেমন ভাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বাংলার ইন্ডাস্ট্রি বলা হয়ে থাকে। ঠিক সমপরিমাণ সম্মানের ভাগীদার ঋতুপর্ণা। তাঁর হিট ছবির সংখ্যা অসংখ্য। কিন্তু এই অভিনেত্রী কার্যত শূণ্য থেকে নিজেকে শুরু করেছিলেন। আর আজ সাফল্যের শীর্ষে তিনি।
একেবারেই সাধারণ পরিবারের মেয়ে তিনি। কোনও স্টারকিড নন। তাঁর পিছনে ছিল না কোনও ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ডও। তাঁর ভাগ্য তাঁকে এনে ফেলেছিল এই ইন্ডাস্ট্রিতে। যদিও সেখানে সফল তিনি। আর সেই জন্যই তিনি বলেন সাফল্য তাঁর হাতের মুঠোয় এসে ধরা দেয় নি কখনই। স্ট্রাগল করতে হয়েছে তাঁকে। প্রত্যেকটা দিন মুখোমুখি হয়েছেন নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জের। আর সেই প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জকে জিতে নিয়েই আজ সফল তিনি।
অভিনেত্রী নয় একজন শিক্ষিকা হতে চেয়েছিলেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে অকপট অভিনেত্রী জানিয়েছেন তাঁর অভিনীত প্রত্যেকটি চরিত্র তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জের মতো। তাঁর কথায় কমফর্ট জোনের মধ্যে থেকে কাজ করলে নিজের সেরাটা দেওয়া যায়না। আর তাই নিজেকে ভাঙতে হয়। আর যে কাজটা নিজের প্রত্যেকটি সিনেমায় করে চলেছেন অভিনেত্রী।
তিনি এক অদ্ভুত প্রতিভাশালী অভিনেত্রী।যিনি মেনস্ট্রিম সিনেমার পাশাপাশি অবলীলায় অভিনয় করতে পারেন অন্য যে কোনও ধারার সিনেমায়। অভিনেত্রী বলেন, যখন প্রথমবারের মতো তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন, তখন তিনি ছিলেন একদম সাদা স্লেটের মতো। কোনও অভিজ্ঞতাই তাঁর ছিল না। আর সেই জন্যই এত কিছু শেখা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে অভিনয় জগতে এসে তিনি নিজেও নিজেকে অনেককিছু শিখিয়েছেন। আর তাঁর থেকে প্রতিনিয়ত শিখে চলেছেন নবাগতরা।