টলিউডের চেনা মুখ ‘রূপসা চট্টোপাধ্যায়’ (Rupsa Chatterjee) ও ‘সায়নদীপ সরকার’ (Sayandeep Sarkar) এর প্রেমের গল্প যেন একেবারে রূপকথার মতো। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর মন দেওয়া-নেওয়া, দীর্ঘ প্রেমের পথ পেরিয়ে ২০২৩ সালের ভালোবাসা দিবসে আইনি বিয়ে সারেন তাঁরা। তারপর ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে সামাজিকভাবে চার হাত এক হয়। সম্পর্কের শুরু থেকেই তাঁরা ছিলেন যথেষ্ট খোলামেলা ও স্পষ্টবাদী। সন্তান আসা নিয়েও কোনও লুকোচুরি রাখেননি রূপসা ও সায়নদীপ, বরং সমাজ মাধ্যমে জানান দেন সুখের খবর।
এই সুখী দাম্পত্যে নতুন রঙ যোগ হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, যখন মা হন রূপসা। ফুটফুটে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মা হওয়া ছিল তাঁর বহুদিনের স্বপ্ন। ছেলের নাম রেখেছেন ‘অগ্নিদেব’। ছোট্ট অগ্নিদেব এখন রূপসার পুরো সময়টুকু দখল করে নিয়েছে। সন্তান আগমনের পরে জীবনের মানে যেন আরও গভীর হয়েছে অভিনেত্রীর কাছে। ছেলের জন্ম ও নামকরণ উপলক্ষে ঘরোয়া পরিবেশেই উদযাপন করেছেন তাঁরা, যা ছিল আবেগে মোড়া এক ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মাতৃত্ব ও গর্ভাবস্থার অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন রূপসা-সায়নদীপ। রূপসা মজা করে বলেন, “আমার ছেলেকে দেখতে আমার মতো হলেও ওর আচরণ, অভ্যেস একেবারেই বাবার মতো।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, অনেকে কম বয়সে মা হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করলেও, তিনি বরাবরই চেয়েছেন নিজের একটি ক্ষুদ্র অংশকে সঙ্গে নিয়ে বড় হতে। তাই এত তাড়াতাড়ি মাতৃত্বের সিদ্ধান্ত। এই প্রথম সন্তান, প্রথম বিয়ে, প্রথম হানিমুন—সব কিছুর আনন্দ একসঙ্গে উপভোগ করেছেন তাঁরা।
স্মৃতির পাতায় সোনালি রঙ ছড়িয়ে রূপসা বলেন, “বিয়েতে নাচ করেছি, হানিমুনে সিকিম গেছি, প্রেগন্যান্সির সময় অভিনয় করেছি—এক কথায় বললে, আমাদের জুনিয়রটা ওর মা-বাবার বিয়ে, হানিমুন সব কিছুই দেখে নিয়েছে চুপিচুপি।” তিনি আশাবাদী, একদিন তাঁদের ছেলে বড় হয়ে মজা করে বলবে, মা-বাবার বিয়ে পর্যন্ত দেখেছি! জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে খোলা মনে এগিয়ে চলেছেন রূপসা ও সায়নদীপ, তাদের দাম্পত্যে আছে গভীর বোঝাপড়া আর অফুরন্ত ভালোবাসা।
আরও পড়ুনঃ নতুন ধারাবাহিকে মুখ বদলের গুঞ্জন! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ বদলাচ্ছে নায়িকার মুখ? কে হতে চলেছেন নতুন অপর্না?
তবে একটিই আক্ষেপ থেকে যায় অভিনেত্রীর। সন্তানের বেড়ে ওঠা এত দ্রুত ঘটছে যে, তার প্রতিটি মুহূর্ত যেন চোখের পলকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। রূপসা বলেন, “চোখের পাতা ফেলতেই ও যেন বড় হয়ে যাচ্ছে। বুঝে ওঠার আগেই আড়াই মাস পার!” মাতৃত্ব তাঁকে যেমন নরম করেছে, তেমনই দিয়েছে এক দৃঢ়তাও। আর এই নতুন পরিচয়—‘মা’—কে তিনি উপভোগ করছেন মনপ্রাণ দিয়ে।