বরাবর সাহসী, সোজাসাপ্টা, স্পষ্ট বক্তা অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। যেটা সত্যি এবং যেটা তাঁর মাথায় আসে সেটা মনে রেখে দেন না বরং মুখ ফুটে প্রকাশ করে ফেলেন তিনি। বহুবার বলেছেন এই স্বভাবের জন্য বহু মানুষকে হারিয়েছেন তিনি। তবু এই স্বভাব ত্যাগ করতে পারেননি শ্রীলেখা।
যখন যেখানে অন্যায় দেখেছেন প্রতিবাদ করেছেন আর তাঁর কাছে এই প্রতিবাদ জানানোর বড় অস্ত্র হলো সোশ্যাল মিডিয়া। ফলে আস্তে আস্তে আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। এর আগে একাধিক বার টলিউডের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। সেই মানুষটি আর কেউ নয় বরং তাঁকেই সবাই বলে ডাকে ইন্ডাস্ট্রি। তিনি হলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
হ্যাঁ, একাধিকবার প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণাকে আক্রমণ করেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু বরাবর ছিল সেই একই শব্দ স্বজনপোষণ। এমনকি সম্প্রতি অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় মৃত্যু হওয়ার পর অভিনেতার একাধিক ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধবরা এই অভিযোগ তুলেছিলেন বুম্বাদার বিরুদ্ধে। সেই সময় আবার একবার সরব হয়েছিলেন শ্রীলেখা। একবার একটা ভিডিও শেয়ার করে সরাসরি দুজনের নাম নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন তিনি প্রকাশ্যে।
পেরিয়ে গিয়েছে দু’বছর। এবার হঠাৎ করে সেই ব্যক্তির সঙ্গেই নিজের কয়েকটি ছবি শেয়ার করলেন নায়িকা সোশ্যাল মিডিয়ায়। অন্নদাতা সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছিলেন প্রসেনজিৎ এবং শ্রীলেখা। সেই সময় কয়েকটি ছবি তোলা হয়েছিল যেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। নায়িকার তখনকার রূপ থেকে চোখ সরানো দায়।
ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিতের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখলেন “তখন আমায় দেখতে বেশি সুন্দর ছিল তাই না? আর ওঁর সঙ্গে কেমন লাগছে? এবার অবশ্য আপনারা আমার নেপোটিজম নিয়ে করা ভিডিওকে যুক্তিসঙ্গত বলবেন কিনা সেটা একেবারেই আপনাদের ব্যাপার। নির্দ্বিধায় মতামত জানান”। নায়িকা জানান এই ছবিগুলো তাঁকে পাঠিয়েছেন ভাইয়ের বউ। বহুদিন পর সেই পুরনো ছবিগুলি দেখে অনেক কিছু মাথায় ঘুরপাক খেল তাঁর। নিজের তরুণী সময়ের ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো আর ওজনও বেশ কম ছিল তাঁর। অন্নদাতা তখন ভালো ফলাফল করেছিল বক্স অফিসে। তবুও এরপর আর প্রসেনজিতের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেলেন না নায়িকা।