জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

রেস্তরাঁয় ফ্যানসি প্ল্যান নয়, জামাইষষ্ঠীতে একেবারে ঘরোয়া গেট-টুগেদার শ্রীময়ীর বাড়িতে! জামাইষষ্ঠীতে কাঞ্চনের পাতে পড়তে চলেছে কি কি বিশেষ পদ? শাশুড়ি মায়ের কি পরিকল্পনা কাঞ্চন-শ্রীময়ীর জামাইষষ্ঠী নিয়ে?

জামাইষষ্ঠী (Jamai Sasthi) মানেই বাঙালি পরিবারে উৎসবের আবহ। মাটন থেকে মিষ্টিমুখ, সব মিলিয়ে পার্বণের দিনটা হয়ে ওঠে একেবারে রসনাতৃপ্তির দিন। শ্বশুরবাড়ির স্নেহ, শাশুড়ির যত্ন আর হরেক রকম পদে সাজানো পাত, এই নিয়েই জামাইষষ্ঠীর পার্বণ। অনেকেই বাড়িতে উদযাপন না করে রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়ান, আবার অনেকে নিজে হাতে রান্না করে প্রিয় জামাইয়ের মন জয় করতে চান। অভিনেত্রী ‘শ্রীময়ী চট্টরাজ’ (Sreemoyee Chattoraj) এর মা-ও সেই দলেরই একজন।

বছর ঘুরে ফের এলো জামাইষষ্ঠী, আর এবারও শ্রীময়ীর বাড়িতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। শ্রীময়ী এখন ব্যস্ত তাঁর নতুন ধারাবাহিক ‘বুলেট সরোজিনী’-এর শুটিং নিয়ে। টানা কাজের মাঝে এবার জামাইষষ্ঠী কীভাবে পালন করবেন, তা নিয়ে ছিল একরাশ চিন্তা। কারণ নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে সদ্য, আর এই সপ্তাহেই বিয়ের ট্র্যাক থাকায় ছুটি নেওয়া মুশকিল। তার উপর ছোট্ট কৃষভি এখন পরিবারের মধ্যমণি। শ্রীময়ীর কথায়, “মায়ের ইচ্ছে ছিল নিজের বাড়িতে আয়োজন হোক।

কিন্তু এখন কৃষভিকে সামলে এদিক-ওদিক করা যাওয়া সম্ভব নয়। তাই এবার আমাদের বাড়িতেই হচ্ছে।” দুই জামাইকে নিয়ে শ্রীময়ীর বাড়িতে এবার একেবারে গেট-টুগেদার মেজাজে তাঁর মা। শ্রীময়ীর দিদি ও জামাইবাবু আসছেন তাঁদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে। মা আগেভাগেই সব পরিকল্পনা করে রেখেছেন কিভাবে জামাই আদর হবে। অভিনেত্রী জানালেন, সকাল শুরু হবে ফলাহার দিয়ে, তারপর লুচি আর ছোলার ডালে ব্রেকফাস্ট। আর মধ্যাহ্নভোজ তো একেবারে বাঙালিয়ানায় ভরপুর!

মাছপ্রেমী জামাইদের জন্য থাকছে মাছের বিভিন্ন পদ। মাথা দিয়ে মুগ ডাল, মৌরলা মাছের ঝাল, ইলিশ, আর মাটন তো থাকতেই হবে। চিংড়ি-প্রেমী কাঞ্চনের জন্য বিশেষভাবে রাখা হয়েছে চিংড়ির মালাইকারি। খাওয়াদাওয়া পাশাপাশি আছে বিশেষ রীতি-রেওয়াজও। ষষ্ঠীর সকালে মা সুতো বেঁধে তালপাখার হাওয়ায় দেওয়া, সব কিছুই হয় নিয়ম মেনে। এবার কৃষভির প্রথম ষষ্ঠী, আগের বছর সে ছিল মায়ের গর্ভে। যদিও ছোটদের জন্য বাড়তি কোনও নিয়ম নেই।

তবে পরিবারের আবেগে তার উপস্থিতি যে আলাদা মাত্রা যোগ করবে, তা বলাই বাহুল্য। উপহার বিনিময়ের ঐতিহ্যও রক্ষা করা হবে যথাযথভাবে। এবার শপিং-এর সময় মেলেনি শ্রীময়ীর, তাই উপহার হিসেবে টাকাই একে অপরকে দেবেন জামাই ও শ্বশুর-শাশুড়ি। তবে ভালোবাসা, যত্ন আর আন্তরিকতা, এসবই এই দিনটার আসল উপহার। শ্রীময়ী নিজের কাজ সামলেও যেভাবে পরিবারকে সময় দিতে প্রস্তুত, তাতেই স্পষ্ট বাঙালির জামাইষষ্ঠী শুধু এক উৎসব নয় বরং একসাথে থাকার আবেগের নাম।

Piya Chanda