জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

আজ ৭৫-এ মিঠুন! প্রেমের তালিকায় বহু জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম, তবুও জীবনের শত প্রেম ছাপিয়ে আজও যোগিতাই তাঁর হৃদয়ের রানী! —জন্মদিনে মিঠুন চক্রবর্তীর জীবনের অজানা গল্প!

আজ জন্মদিন তাঁর, ৭৫ পেরিয়েছেন বটে, কিন্তু বয়স যেন ‘মিঠুন চক্রবর্তী’র (Mithun Chakraborty) শরীরে থেমে গেছে অনেক আগেই। টলিউডের যে কোনও শুটিং ফ্লোরে বা আড্ডায় এখনও তিনি প্রাণবন্ত, উৎসাহী এবং মধ্যমণি। কাজের ফাঁকে রসিকতা, হাসিঠাট্টা আর চারপাশে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। অনেকেই বলেন, তিনি যেন এক চলমান ‘এন্টারটেনমেন্ট চ্যানেল’। কাকে নিয়ে কখন ঠাট্টা করবেন, সেটাও আগে থেকে বোঝা দায়।

জিৎ হোন কিংবা কোয়েল, এমনকি অভিজ্ঞ অভিনেতা ভরত কলেরও রেহাই নেই মিঠুনদার রসিকতা থেকে। শুধু আড্ডা নয়, পেশাদারিতেও কোনও ঘাটতি রাখেন না তিনি। ক্যামেরা চালু হতেই যেভাবে চরিত্রে ঢুকে পড়েন, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। রাত যতই হোক, প্যাকআপের পরেও চলে চরিত্র বিশ্লেষণ, আগামী দিনের দৃশ্য নিয়ে মনোযোগী আলোচনা। কখনও নিজের রুমে রান্না করে খাওয়াচ্ছেন সহশিল্পীদের, কখনও গভীর রাত পর্যন্ত গল্পে মশগুল।

তাঁর সঙ্গে কাজ করলে বোঝা যায়, অভিনয় তাঁর কাছে শুধুই পেশা নয়, এটা তাঁর আত্মার অংশ। মিঠুন চক্রবর্তী শুধুই একজন অভিনেতা নন, তিনি এক দার্শনিকও বটে। প্রেম, খেলাধুলো, সমাজ কিংবা জীবনদর্শন, সব বিষয়ে তাঁর জ্ঞান আর বিশ্লেষণ ক্ষমতা তাক লাগানো। যাঁরা তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন, তাঁরা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলা সিনেমা নিয়ে তাঁর আবেগ অভাবনীয়।

সুযোগ পেলে তিনি বাংলার জন্য বুক আগলে দাঁড়িয়ে পড়তেন। তবে সময়ের সঙ্গে তাঁর অভিনয়ের ধারা যেমন বদলেছে, তেমনই বদলেছে চরিত্রের ধরণও। এক সময়ের ‘ফাটাকেষ্ট’র ইমেজ থেকে সরে এসে আজ তিনি ‘প্রজাপতি’-র মতো মনকে দোলা দেওয়া ছবির মাধ্যমে ফিরে এসেছেন। তবে অনেকে মনে করেন, মূলত যেই প্রতিবাদী ইমেজ ছিল মিঠুনদার আসল ঘরানা।

সেটি থেকে দূরে যাওয়ার ফলেই অন্য ছবি সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। আর প্রেম? সে তো মিঠুন চক্রবর্তীর জীবনের আলাদা অধ্যায়। পর্দা আর বাস্তব, দুই জায়গাতেই অনায়াসে ফ্লার্ট করে গেছেন। তালিকায় নাম রয়েছে শ্রীদেবীর মতো তাবড় তাবড় অভিনেত্রীদের। কিন্তু সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে থেকেছে তাঁর স্ত্রীর প্রতি নিখাদ ভালোবাসা। একাধিক সম্পর্ক, বহু প্রেমিকারা থাকলেও, যোগিতা বালির প্রতি তাঁর টান ছিল আলাদা।

তাঁদের দুজনের যত্ন আর রসায়ন ছিল নিঃসন্দেহে অনন্য। প্রেমের খেলায় যতই মেতে থাকুন না কেন, দিনের শেষে মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন একজন প্রেমিক স্বামী, যাঁর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল গভীর অনুভবে বাঁধা। একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েও সেই রসায়ন তিনি খুঁজে পাননি যা পেয়েছিলেন যোগিতা বালির সঙ্গে। তাই শ্রীদেবীকেও প্রত্যাখ্যান করে ঘর বেঁধেছেন যোগিতার সঙ্গে।

Piya Chanda