টিয়া সবুজ রঙের গাড়িটা চোখে পড়েছিল অনেকদিন আগে। তখনও রূপোলি পর্দায় পাকাপাকি জায়গা করে নেননি অভিনেতা ‘ঋষভ বসু’ (Rishav Basu) । থিয়েটার আর স্কুলের চাকরি মিলিয়েই চলছিল তাঁর দিন। কিন্তু সেই গাড়িটি যখন প্রথম দেখেন, এক ঝলকে প্রেমে পড়ে যান অভিনেতা। তখন থেকেই ঠিক করে ফেলেছিলেন, কিস্তিতে হলেও এই গাড়ি কিনবেনই। এ গাড়ি যে আর পাঁচটা বাহনের মতো নয়, এটা যেন তাঁর স্বপ্নের রঙ।
অবশেষে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছিল। নিজের উপার্জনের টাকায় কেনা প্রথম গাড়ি। শুধু বাহন নয়, জীবনের এক পরম সঙ্গী হয়ে উঠেছিল সেটি। পর্দার জগতে আসার শুরু, সাফল্যের প্রথম স্বাদ, ব্যর্থতার কষ্ট, সব মুহূর্তের নীরব সাক্ষী ছিল গাড়ির চার দেওয়াল। এমনকি প্রেমের গোপন মুহূর্তেও সঙ্গী ছিল সে। স্মৃতি হাতড়াতে গিয়ে আজও হেসে ওঠেন ঋষভ, বলেন— “ এই গাড়িতে চুমুও খেয়েছি। তবে সেটা ছিল ভালোবাসার আলতো ছোঁয়া।”

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলেছে। জীবনে এসেছে নতুন চাহিদা, নতুন পরিকল্পনা। আর সেকারণেই বাধ্য হয়ে প্রিয় গাড়িটিকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা! ঋষভের কথায়, “প্রাথমিক কারণ অবশ্যই আর্থিক। বাবাও বলেছে, ৯-১০ বছর পার হলে গাড়ির অনেক যন্ত্রাংশ আগের মতো থাকে না।” তাই আবেগকে একটু দূরে সরিয়ে, বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত। নিন্দুকেরা অবশ্য বলছেন অন্য কথা।
তাঁদের দাবি, এখন ঋষভের রোজগার বেড়েছে। তাই পুরনো গাড়ি বিক্রি করে হয়ত নতুন, দামি মডেল আনার পরিকল্পনাই করছেন তিনি। ঋষভ একেবারে তা উড়িয়ে না দিলেও, টাকা ও প্রয়োজনকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রকাশ্যেই। তবে এটাও জানিয়েছেন, “এবার হয়তো কালো গাড়ি কিনব। কারণ এই রঙে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় লাগে। পোশাকে যেমন কালো মানায়, গাড়িতেও সেটা যেন আলাদা মর্যাদা আনে।”
আরও পড়ুনঃ একদিকে জামাইষষ্ঠীর আনন্দ, অন্যদিকে বড় রানীর সামনে ষ’ড়যন্ত্রের মুখোশ খুলল ফুলকি! ফুলকিকে সরাতে মরিয়া ছোট রানী! বদলা নিতে ফিরে এসেছে রুদ্র! বড় রানী এবার কোনপথে?
উল্লেখ্য, ওয়েব সিরিজ ‘শ্রীকান্ত’তে ঋষভের অভিনয় সবার বেশ পছন্দ হয়েছিল। আগামীতেও ওটিটিতে বেশ কয়েকটি কাজ করছেন তিনি। নতুন গাড়ি, নতুন সঙ্গী তবে পুরনো স্মৃতি কি ভোলা যায়? নিজের প্রথম গাড়িকে ‘স্ত্রীর মতো’ বলেই বর্ণনা করেন ঋষভ বসু। তাঁর গলায় স্পষ্ট একটা অদ্ভুত মায়া। তিনি বলেন, “সম্পর্ক শেষ হলেও স্মৃতি কি কখনও ফুরোয়? গাড়ি বদলালেও, জীবনের প্রথম ভালবাসা আর সেই টিয়া সবুজ স্বপ্ন কখনও ভুলব না।”