১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর তত্ত্বাবধানে প্রথম নির্মাণ শুরু হয় নন্দনের। ১৯৮৫ সালে এর উদ্বোধন করেছিলেন বাঙালি পরিচালক সত্যজিৎ রায়। শুধু তাই নয়, নন্দনের লোগোটি তাঁরই সৃষ্টি করা। যে লোগো একবার দেখলেই সিনেমাপ্রেমী বাঙালি মানুষ বুঝে যায়। সত্যজিৎ প্রথম পরিচালনা করেন পথের পাঁচালী যা আজও কালজয়ী।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মান পেয়েছে এই সিনেমা। পথের পাঁচালীর বিহাইন্ড দ্য সিন অর্থাৎ তৈরি করার অধ্যায় নিয়ে ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক অনীক দত্ত। নাম রেখেছেন অপরাজিত। ১৪ মার্চ মুক্তি পেতে চলেছে এই সিনেমা। সিনেমাটিকে নিয়ে বাঙালি দর্শকদের প্রচুর প্রত্যাশা রয়েছে যা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় যে নন্দনের শুরুর দিন থেকে সত্যজিৎ জড়িয়েছিলেন, সেই স্থানেই স্থান পেল না অপরাজিত।
একটাও শো দেখানো হচ্ছে না নন্দনে। এ বিষয়ে পরিচালক অনীক দত্ত এবং প্রযোজক ফেরদৌসল হাসানের সঙ্গে কথা বলে এক সংবাদমাধ্যম।
প্রযোজক জানিয়েছেন ছবিটি জমা দিয়েছিলেন নন্দনে। মিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি বলেন দেখছেন। গতকাল টিকিট বুকিং ওয়েবসাইট খুলে দেখা যায় অন্যান্য ছবির বুকিং চালু হয়ে গেছে কিন্তু তাতে নাম নেই অপরাজিতর। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে নন্দনের একটা যোগ আছে এটা প্রতিটি বাঙালি জানে। সবথেকে বড় প্রশ্ন ভালো বাংলা ছবিকে দেখানোর জন্যেই তৈরি করা হয়েছে এই স্থানটি।
যে ছবিটা টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গেছে, লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গেছে, যে ছবিটা সত্যজিৎ রায়ের ১০০ বছরের জন্মদিন সেলিব্রেট করছে সেটা যদি ডিজার্ভ না করে তাহলে কোন ছবি করবে? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন প্রযোজক। পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন নতুন হল খোলা হয়েছে রাধা। সেখানেও দেখানো যেত। রাজনীতি তিনি বোঝেন না।
বাংলা ছবি তৈরি করেন। যে ছবিটি বাংলা ছবিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে তা কলকাতায় সরাসরি স্ক্রিনিং পাচ্ছে না এর চেয়ে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না, দাবি প্রযোজকের। এদিকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুরু হওয়ার আগে যখন তাঁরা ছবিটি জমা দেন তখন কর্তৃপক্ষ খুশি হয়েছিল তা দেখে।
এ বিষয়ে পরিচালক অনীক দত্তর সঙ্গে কথা বলার পর যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় নন্দন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।