জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ঐন্দ্রিলা বাধা দেয়…ইন্ডাস্ট্রির বাইরের কোনও মেয়ে সঙ্গী হলে ভালো হতো!”— ১৪ বছরের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে চায় না অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা জুটি! প্রেমিকার সঙ্গে একই পেশায় থাকা নিয়ে এবার সমস্যার কথা তুলে ধরলেন প্রেমিক অঙ্কুশ!

টলিউডের অন্যতম চর্চিত অফ-স্ক্রিন জুটি ‘অঙ্কুশ হাজরা’ (Ankush Hazra) আর ‘ঐন্দ্রিলা সেন’ (Oindrila Sen)। অনস্ক্রিনে যেমন রোমান্স জমে ওঠে তাদের মধ্যে, বাস্তব জীবনেও সেই বন্ধন কম দৃঢ় নয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছরের সম্পর্ক পার করেও এখনও বিয়ে করেননি তারা! এই নিয়েই প্রশ্ন যেন বারবার ফিরে আসে ভক্তদের মুখে। কেউ বলেন, দু’জনের কেরিয়ার এখন উড়ন্ত অবস্থায়, তাই হয়তো এই মুহূর্তে সংসারের দায় নিতে চাইছেন না। আবার কেউ কেউ ধারণা করেন, দু’জনের মতভেদই হয়তো বিয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

তবে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা দু’জনেই বারবার জানিয়েছেন, একসঙ্গে থাকা আর সুখী থাকা তাদের কাছে বিয়ের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, সিনেমার সেট থেকে শুরু করে জীবনের মঞ্চ— অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা বহু বছর ধরে পাশাপাশি হাঁটছেন। ‘মির্জা’, ‘লাভ ম্যারেজ’, ‘চন্দ্রবিন্দু’—প্রতিটি ছবিতে তাদের জুটি দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনস্ক্রিন রসায়নের মতোই অফস্ক্রিনে একে অপরের প্রতি অগাধ ভরসা রয়েছে। পুজোর মরসুমে মুক্তি পাওয়া ‘রক্তবীজ ২’-এর সময়েও ঐন্দ্রিলা সঙ্গীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনের নানান প্রশ্ন বা জল্পনা থাকা সত্ত্বেও, একে অপরের কাজের ক্ষেত্রে যে দু’জনেই সমান সহযোগী, তা বোঝা যায় সহজেই। তবে তাদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা নতুন নয়। গত বছর ঐন্দ্রিলার শেয়ার করা একটি ভিডিও থেকেই জোর গুঞ্জন উঠেছিল— বোধহয় বিয়ের ঘণ্টা বাজতে চলেছে খুব শিগগিরই। পরে জানা যায়, সেই ভিডিওটি আসলে প্রোমোশনাল কন্টেন্ট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অঙ্কুশকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, একই পেশায় থেকে সম্পর্কে থাকা তাদের পক্ষে কতটা সহজ বা কঠিন হয়েছে?

অঙ্কুশের স্পষ্ট উত্তর, “টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা হয় না, যেহেতু আমরা দু’জনেই একই পেশায় আছি। প্রায়ই আমাদের একসঙ্গে বা আলাদাভাবে আউটডোর শুটিংয়ে যেতে হয়। সেই ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার কথা মনে আসার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু যেহেতু পুরো শুটিংয়ের টিম থাকে তাই এটা খুব একটা হয় না।” একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “ডিস-অ্যাডভান্টেজ বলতে গেলে, আমি যখন কোন একটা গল্পের উপর ছবি বানাবো ঠিক করি, বেশিরভাগ সময় ঐন্দ্রিলা আমাকে না করে।

আমি হয়তো গল্পটাকে একটা দিক দিয়ে দেখছি, ও সেটার গভীরে ঢুকে ব্যর্থতাটা বের করে। অভিনয় পেশার সঙ্গে যোগাযোগ নেই এমন মেয়ে কিন্তু বলত যে, নতুন ছবি খুব ভালো। এমন পরিস্থিতিতে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় যে, ইন্ডাস্ট্রির বাইরের কোনও মেয়ে সঙ্গী হলে ভালো হতো, কোনও ব্যাপারে থাকত না। কিন্তু আমার এই ভাবনা শুধুমাত্র জেদের বশেই, বেশিরভাগ সময় যেহেতু ঐন্দ্রিলা সঠিক হয় তাই আমিও ওর বিরোধিতা করি না।” তাঁর এই মন্তব্যে স্পষ্ট, সম্পর্কের মধ্যে যত মতবিরোধই থাকুক, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর বোঝাপড়াই তাদের বন্ধনকে এতটা মজবুত করেছে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page